জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে কাতার

প্রকাশ : 2023-03-06 13:42:41১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে কাতার

ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে আশ্বাস দিয়েছে কাতার। রবিবার [৫ মার্চ ] কাতারের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে [কিউএনসিসি] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি কাতারের আমিরের উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাতারের আমির বলেছেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই। কাতার সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।’

মোমেন বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কাতারের কাছ থেকে আরও বেশি জ্বালানি, বিশেষ করে বার্ষিক আরও এক মিলিয়ন মেট্রিক টন [এমটিএ] তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস [এলএনজি] চেয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, আমরা কাতারের সাহায্য চাই। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমি চুক্তি নবায়ন করতে চাই। আমি আরও এলএনজি চাই। জবাবে কাতারের আমির জানতে চান, বাংলাদেশ কতটা চায়। তাকে বলা হয়, বাংলাদেশ আরেকটি এমটিএ অর্থাৎ ১৬-১৭ কনটেইনার জ্বালানি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আমির বলেন, আপনার কাতার ছাড়ার আগে আমার জ্বালানি মন্ত্রী এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।’

‘আমির আরও বলেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই। কাতার সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৪০টি কন্টেইনার জ্বালানি আমদানি করছে, যার পরিমাণ ১.৮-২.৫ এমটিএ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানালে শেখ তামিম বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, এ বছর বাংলাদেশ সফর করবো।’

‘প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং বিভিন্ন দেশ সেখানে বিনিয়োগ করছে। কাতার সেই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতেও বিনিয়োগ করতে পারে। কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন, কারণ এখানে কিছু শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছে। জবাবে শেখ তামিম বলেন, তিনি সবসময় বাংলাদেশ ও বাঙালির কল্যাণ চান।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কিউএনসিসির দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে ইউএনডিপি প্রশাসক আচিম স্টেইনারের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী ইউএনডিপিকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিলেন যাতে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়া দেশগুলো একবারে এলডিসিগুলির জন্য এনটাইটেল করা সমস্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা না হারায়।’