জেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার, ৪৮ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করবে ইসি
প্রকাশ : 2022-10-16 12:27:23১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ না হতেই শুরু হচ্ছে দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটার কম থাকলেও কঠোরভাবে এটি মনিটরিং করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ভোটের আগে-পরে ৪৮ ঘণ্টা পুরো নির্বাচনের চিত্র এক হাজার ৩৯৬টি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইসির ক্রয় ও মুদ্রণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ এনাম উদ্দীন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে টেলিফোন শিল্প সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা সব ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে ক্যামেরাগুলো স্থাপন করবেন।
অন্যদিকে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র প্রতি নিয়োজিত থাকবে সাতজনের ফোর্স। ভোটের আগে-পরে থাকছেন পর্যাপ্ত সংখ্যায় নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও নিয়োজিত থাকছে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, কোস্টা গার্ড, র্যাব-এর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশের অস্ত্রসহ মোট তিনজন, আনসারের অস্ত্রসহ দুজন ও অঙ্গীভূত আনসারের দুজন; মোট সাতজন নিয়োগ করা হবে। ভোট গ্রহণের দিন, তার আগে একদিন ও পরে একদিন; মোট তিন দিন ভোটকেন্দ্রে ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
সিসিটিভি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে এবং কেন্দ্রের সম্মুখে নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে সিসিটিভির সাহায্যে রেকর্ডিং এর জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেড, টঙ্গী, গাজীপুরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ও কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, অন্য নির্বাচনের মতো সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভোটের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হবে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকেও। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিবের কক্ষেও পর্যবেক্ষণ মনিটরিং করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সারাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৯২৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ২৩৬ জন।
নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ রয়েছে ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ রয়েছে ১৭২টি। আর চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। এসব নির্বাচনে ৪৭৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৫১৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে রয়েছেন ৬২২ জন প্রার্থী।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৬ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।