জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: জামায়াত আমির

প্রকাশ : 2025-11-11 17:53:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: জামায়াত আমির

আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, তারপর নির্বাচন: গোলাম পরওয়ার
আপনারা মজলুম ছিলেন, জালেম হওয়ার চেষ্টা করবেন না: বিএনপিকে রাশেদ প্রধান
গণভোটের আগে কিছুই হতে দেওয়া হবে না: মামুনুল হক
আমরা চেয়েছি আলোচনায় সমাধান, সরকার সে পথে হাঁটেনি: হামিদুর রহমান


নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ২০২৬ সালে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, যারা জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে নারাজ, তাদের জন্য চাব্বিশে কোনো নির্বাচন নেই। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি হবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে। আর জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। যারা জুলাইয়ের চেতনার প্রতি সম্মান রাখতে পারছে না, তারা জাতীয় নির্বাচনে মানুষের মতকে সম্মান জানাবে কীভাবে?

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি এবং নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত আট দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘জুলাই সনদে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। এটি বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’ তিনি রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে জনগণের ভাষা বোঝার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলেই এই পল্টনে আমরা কথা বলতে পারছি। জনগণের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। তাদের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।’আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের দাবি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না, ততক্ষণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির আসল উদ্দেশ্য বুঝে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা নব্য ফ্যাসিস্ট হবার চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামলে তারা বঙ্গোপসাগর ছাড়া পালাবার জায়গা পাবে না। 

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ঐকমত্য কমিশনে সবাই গণভোটের পক্ষে মত দিলেও এখন কেউ কেউ গণভোট নিয়ে টালবাহানা করছে। জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নব্য ফ্যাসিস্ট হবার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামলে বঙ্গোপসাগর ছাড়া পালাবার জায়গা পাবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গণভোটের ব্যাপারে বলেছে, যেদিন নির্বাচন সেদিনই গণভোট। আলোচকরা তখন প্রশ্ন তুলেছেন, আপনারা জাতীয় নির্বাচন করবেন কোন আইনের ভিত্তিতে? সেই আইনের ভিত্তি হলো জুলাই সনদ। জুলাই সনদ যখন আইনি ভিত্তি পাবে, তখনই জাতীয় নির্বাচন বৈধতা পাবে। অন্যথায় এই নির্বাচন অবৈধ হবে।

রেজাউল করীম বলেন, আজ দেশে দুই শ্রেণির মানুষ—এক শ্রেণি দেশপ্রেমিক, আরেক শ্রেণি ক্ষমতালোভী। আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক ছিল না, তারা ছিল কেবল ক্ষমতার প্রেমে মত্ত। এখন তারা বাংলাদেশের মাটি ছেড়ে ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নিচ্ছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা এখন নব্য ফ্যাসিস্ট হবার স্বপ্ন দেখছে, যারা গণভোটের আগে টালবাহানা করছে, তাদের পরিণতিও ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশের মানুষ আজ স্পষ্টভাবে বলছে—জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিই প্রথম, এরপর জাতীয় নির্বাচন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। এরপরই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত। তিনি বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও সংবিধান অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা জাতিকে শান্তি ও স্থায়িত্ব দেবে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইসলামী ৮ দলের রাজনৈতিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর পল্টন মোড়ে এই বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি আগামী দিনের রাজনীতির মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং মুসলিম উম্মার ঐক্য ও দেশপ্রেমিক মানুষের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

তিনি আরও বলেন, সরকারের গঠিত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ কমিশন প্রায় নয় মাস ধরে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় বিভিন্ন সংস্কারের মধ্য দিয়ে কাজ করেছে। ফলে আগামী ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রায় একমত হয়েছে। তবে এক মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, যারা দাবি করছেন একদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তা মানবে না। জুলাই মাসে জাতীয় সনদের যে সংস্কারগুলো করা হয়েছে, তা সংবিধানের নানা ধারা সংশোধনের মাধ্যমে হয়েছে। দলের প্রধান এবং সরকার প্রধান এক থাকবেন না, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রবর্তিত হয়েছে। তবে এগুলো যদি আইনি ভিত্তি না পায়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন কী ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে?

তিনি হাইকোর্টের আর্টিকেল ১০৬ ধারার মাধ্যমে সরকারের বৈধতা নিয়ে বিতর্কের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা এই আইন নিয়ে বিতর্ক করেছেন। ফলে একমাত্র গণভোটের মাধ্যমে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যত সংস্কার হয়েছে, তা যদি আইনি ভিত্তি না পায়, জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পাঁচ দফায় মানবতা বিরোধী অপরাধের খুনিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য যে দাবি ছিল, আমরা তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভয় ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে এবং নভেম্বরে কিছু অপরাধীর রায় আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা ককটেল ও আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি সরকার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নাশকতার জন্য অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য অবিলম্বে অভিযান চালান। পাশাপাশি, আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করুন। এরপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি এই সরকারকে সহযোগিতা করবে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, একটি দল যাদের জন্ম হয়েছিল গণভোটের মাধ্যমে, যাদের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল গণভোটের মাধ্যমে, তারা আজ নতুন বঙ্গদেশে গণভোট মানতে চায় না। জনগণের চাপে তারা রাজি হলেও বলে বেড়াচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের দিন নাকি গণভোটের আয়োজন করবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রতীক-নির্ভর নির্বাচনে হ্যাঁ/না ভোট করে জুলাই আন্দোলনকে অপমান হতে দেব না।

তিনি বলেন, যারা নতুন করে জালেম হতে চাইছে, যারা নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু করেছে, ভূমি দখল করা শুরু করেছে, যারা নতুন করে রাহাজানি শুরু করেছে, যারা নতুন পরিচয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে চাইছে—সেই বিএনপিকে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, ১৬ মাস আগে আপনারা মজলুম ছিলেন, নতুন করে জালেম হওয়ার চেষ্টা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১৩ তারিখ নতুন করে একটি দল দেওয়ার চেষ্টা করছে, কর্মসূচির নাম নাকি লকডাউন। পুরাতন জালেম আওয়ামী লীগ তাদের লকডাউন জারি করেছে। অর্থাৎ হিন্দুস্তানের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে হিন্দুস্তানে লক হয়ে গেছেন। আর দেশে যাদের রেখে গেছেন তারা ১৩ তারিখ ‘ডাউন’ হতে যাচ্ছেন—এটাই হচ্ছে তাদের লকডাউন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নতুন জালেম ও পুরাতন জালেম—দুপক্ষকেই একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আজকের এই মঞ্চের দিকে তাকিয়ে দেখুন—আলেমরা এক হয়েছেন, জালিমদের দিন শেষ। বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমরা এখানে বসে আছেন, আছেন অসংখ্য তৌহিদী জনতা এবং অসংখ্য পতাকা। কিন্তু আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি কোরআন, দেখতে পাচ্ছি ইসলাম। অতএব এখান থেকে আওয়াজ উঠবে, যমুনায় গিয়ে তার শব্দ পৌঁছাবে।

রাশেদ প্রধান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোট করতে হবে। আজকে শান্তিপূর্ণভাবে বাসায় ফিরে যাব, তবে অতিসত্বর ঘোষণা না এলে পরে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু হবে।

দেশে গণভোটের আগে কোনো কিছু হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমরা কোনো কাগুজে সনদ হিসেবে দেখতে চাই না। জুলাই সনদকে আমরা আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য আমরা আট দলের পক্ষ থেকে বলেছি, অনতিবিলম্বে জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে এর প্রাথমিক আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। 

মামুনুল হক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই মনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হয়ে জুলাই বিপ্লবপন্থীরা বরদাস্ত করবে না। আমরা সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে চাই, আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের, জুলাই বিপ্লবের শাহাদাত বরণকারী বীর শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে জুলাই বিপ্লবের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন গণভোট ছাড়া বাংলার মাটিতে আমরা আর কোনো কিছুই হতে দেব না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির বলেন, আমি জানি না, জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি পক্ষ কেন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাচ্ছে না। গণভোট হলে কার কী সমস্যা? জুলাই সনদের গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে, যদি তপসিল ঘোষণা হয়ে বাস্তবায়িত হয় সেখানে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্বিকক্ষ সংসদের উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে? কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনি মেনুফেস্টু (ইশতেহার) তৈরি করবে? 

দলগুলো জাতির সামনে তাদের একশ প্রার্থীর তালিকা কীভাবে প্রকাশ করবে? এসব বিষয়ের কোনো সদুত্তর তাদের কাছে নাই। যারা জাতীয় সংসদের আগে জুলাই সনদের গণভোটের বিরোধিতা করছেন আমরা তাদের সমস্যা জানতে চাই। তাদের কাছে কোনো যুক্তি নাই। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। - বলেন মামুনুল হক। 

দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত মন্তব্য করে মামুনুল হক বলেন, এক ভাগ বাহাত্তরের বাকশালপন্থী, আরেক ভাগ জুলাইয়ের বিপ্লবপন্থী। আজ প্রতিটি রাজনৈতিক পক্ষের কাছে আমার সুস্পষ্ট জিজ্ঞাসা, সবাই যার যার অবস্থান পরিষ্কার করুন। হয় আপনি জুলাইয়ের পক্ষপাতি, আর না হয় বাহাত্তরের বাকশালপন্থী। বাহাত্তরের পরাজিত বাকশালপন্থীরা আগামী ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ১৩ নভেম্বর আমরা কোনো বাকশালপন্থীকে বাংলার রাজপথে নামতে দেব না। রাজপথে তাদের মোকাবেলা করা হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা চাই না সংঘাত হোক। আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান হোক, এটাই ছিল আমাদের অবস্থান। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি। বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলের চাপে জনতার আকাঙ্ক্ষাকে স্থবির করে দিয়েছে, যা সরাসরি জনমতের বিপরীত।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে চার মাসব্যাপী যে আন্দোলন চলছে, সেটি এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠা জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আজকের পল্টনের ‘ঐতিহাসিক সমাবেশ’ সেই আন্দোলনের পঞ্চম পর্ব।

তিনি আরও বলেন, গণভোট ও আরও তিন দফা দাবিতে আট দলের আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং জনগণের ইচ্ছা ও ক্ষোভের প্রকাশ। গত চার মাসে আমরা চার পর্বের আন্দোলন করেছি। আজ চলছে পঞ্চম পর্ব। এটা আর সাধারণ সমাবেশ নয়, একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা।

আযাদ বলেন, সরকারের প্রতি শান্তিপূর্ণ সমাধানের সুযোগ বহুবার দেওয়া হলেও তা উপেক্ষিত হয়েছে। বলেন, জনতার আকাঙ্ক্ষাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গণভোট এখন শুধু রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং অবধারিত একটি জাতীয় সিদ্ধান্তের পথ।