জুলাইতে সড়কে ক্ষতি ৬৫৩ কোটি টাকা, ঝরেছে ৮৭১ প্রাণ

প্রকাশ : 2022-08-01 20:06:02১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জুলাইতে সড়কে ক্ষতি ৬৫৩ কোটি টাকা, ঝরেছে ৮৭১ প্রাণ

২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০৪ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় এবার অর্থনৈতিক ক্ষতির সীমা অতিতের সকল মাসকে ছাড়িয়ে ৬৫৩,২৩,৮১,০৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোতে আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৮৭১ জন। নিহতদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৩১, ১৯০ জন শিক্ষার্থী, ২৫৫ জন নারী, শিশু ৪৫ এবং ১৫০ জন পঞ্চাষোর্ধব্ব। শিক্ষার্থী এবং তরুণদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বাইক লেন না থাকার কারণে একই পথে চলাচলরত অন্য পরিবহনের ধাক্কায় সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। অন্যান্য বাহনগুলোতেও নির্ধারিত গতির চেয়েও অনেক বেশি গতিতে চলার কারণে প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। এই সব বাহনের অধিকাংশ চালকের বয়সই ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে। 

বাংলাদেশের ২৬ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে- মহাসচিব শান্তা ফারজানা প্রেরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর পাশাপাশি নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ১০৪ টি দুর্ঘটনায় আহত ৮৬৩ এবং নিহত হয়েছে ২০৩ জন; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৭৩৩ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭১৪ এবং নিহত হয়েছে ১৬৫ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ১ হাজার ৫ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১ হাজার ১৩২  জন  এবং নিহত হয়েছেন ৩২০ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৬২ টি আহত হয়েছে ৭৬৩ জন এবং ১৮০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১৮ টি। আহত ৩২১ জন, নিহত হয়েছে ১৯ জন; রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪২ টি, ঈদুল আযহার ঈদযাত্রাসহ বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছে ২৩২ জন এবং নিহত হয়েছে ২৪ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে দুটি বিমান মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার।  

সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে জুলাই মাসের এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচ্য তা হলো- বাইক লেন না থাকায় সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। সেই সাথে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের পরিবহনগুলোও পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে। সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ পদ্মা সেতুসহ সারাদেশে সকল সড়ক-মহাসড়ক- সেতুতে অনতিবিলম্বে বাইক লেন, গতিসীমা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন-পর্যবেক্ষণ এবং ৫ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপনের জন্য সুপারিশ করেন।