জাত তুলে গালিগালাজ,পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ : 2023-03-06 17:28:55১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জাত তুলে গালিগালাজ,পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বগুড়ার আদমদীঘিতে হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভোগপ্রসাদ রান্নার জ্বালানীর জন্য সড়কের মরা গাছ কাটার অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে জাত তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্র্তৃক গাছের ডালপালা, গুল জব্দ এবং জব্দকৃত কয়েকটি গুল বিক্রি করার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। 

এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আতংক ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগে জানা গেছে, যুগ যুগ ধরে স্থানীয় প্রশাসনের মৌখিক সম্মতিক্রমে উপজেলা সদরের বাবা আদম (রঃ)’র ওরশ মোবারকের তবারক ও হিন্দুধর্মালম্বীদের হরিবাসেরের প্রসাদ রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য একাধিক সড়কের মরা গাছ কাটা হয়ে থাকে। এর অংশ হিসাবে আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য ওরশ মোবারকের জন্য ইতি মধ্যে মরা গাছ কাটা হয়েছে। 

এদিকে আগামী ১৪ মার্চ উপজেলা সদরের তালসন গ্রামের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে হরিবাসরের প্রসাদ রান্নার জন্য একই ভাবে গত ৩ মার্চ শুক্রবার উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের পাহালোয়ানপাড়া গ্রামের সড়কের ৪টি মরা গাছ কাটা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক গাছ কাটার খবর পেয়ে ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু তাঁর একদল কর্মী বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাটা গাছ চেরাই করা বন্ধ করে দেয়। এর পর চেয়ারম্যান থানার হাসান আলী নামের এক উপ-পরিদর্শককে ফোন করে ঘটনাস্থলে পাঠায়। উপ-পরিদর্শক হাসান আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা অলোক কুমার মৈত্র ব্যাটেল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবুকে ফোন করলে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তেজিত ভাবে গালিগালাজ করে। পরিস্থিত বেগতিক দেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোজজন ভীত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরা গাছের ডালপালা, কাঠ গুলো রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে আসে। 

 এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর প্রায় দু’শ মন ওজনের গাছের ২১ গুল ও ডালপালা ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও কাঠের গুল গুলো থানা কিংবা বন বিভাগের জমা না দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু কাটা গাছের কিছু পরিমান গুল বিক্রি করে দিয়েছেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তার পাশে কাটা গাছ গুলো সুফল ভোগীদের। তাই তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাটা গাঠের গুল গুলো জব্দ করেছেন। কিন্তু থানা কিংবা বন বিভাগে জমা দেননি কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। থানার এসআই হাসান আলী গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিকট ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জাত-পাত তুলে গালিগালাজ করেননি বলে দাবী করেছেন। তিনি বলেন, মরা গাছের ওই গুল গুলো ইউপি চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। তবে কোথায় নিয়ে গেছে তিনি তা জানেন না।