জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ : 2022-08-15 09:05:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টায় ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অনার গার্ড প্রদান করেন, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতর যান। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি থেকে বনানী কবর স্থানে যান। সেখানে ১৫ আগস্ট শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা ছেড়ে গেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা সবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নামে।

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পনেরই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এদিন জাতির পিতার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ঘৃণ্য ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করে। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন।