জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ফকিরহাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম
প্রকাশ : 2022-05-29 19:54:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জরাজীর্ণ ভবনে ২৮ বছর ধরে চলছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। ভেজা স্যাঁতসেঁতে ভবনের ছাদ আর দেয়াল। কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের একটি ছোট কক্ষে চলছে অফিসের সব কাজ। এ ছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের লক্ষাধিক বই রাখার জন্য নেই নিজস্ব গুদাম। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদসংলগ্ন একতলাবিশিষ্ট পুরোনো কোর্ট ভবনে ১৯৯৪ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সেই থেকে ২৮ বছর ধরে জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ভবনটি অনেক পুরোনো হওয়ায় বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় রয়েছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। এই অফিস থেকে উপজেলার ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছয়টি দাখিল মাদ্রাসা, দুটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও ছয়টি মহাবিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে প্রতিবছর পাঠানো লক্ষাধিক বই রাখার জন্য নিজস্ব কোনো কক্ষ নেই। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বাধ্য হয়ে স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবই আট্টাকা কেরামত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার বই ফকিরহাট কারামাতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে রাখছেন। এতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবনের একটি ছোট কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখানে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে কাজে আসা শিক্ষকদের বসতে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। বিষয়টি খুবই অস্বস্তিকর।’
শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ ভবন তৈরি হবে, তা জানি না।’