জমিজমা নিয়ে চাচা-ভাতিজার সংঘর্ষ, প্রাণ গেলো দুজনেরই

প্রকাশ : 2025-02-04 14:47:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জমিজমা নিয়ে চাচা-ভাতিজার সংঘর্ষ, প্রাণ গেলো দুজনেরই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামে পূর্ববিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আমানত মিয়া (৫৭) ও আজাদ মিয়া (৫০) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বিশুতারা গ্রামের ইনসান মিয়ার সঙ্গে তার চাচা আজাদ মিয়ার জমিজমা এবং বাড়িতে ঘর নির্মাণ নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আজাদ মিয়াকে তার সারের দোকানে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভাতিজা ইনসান মিয়াসহ তার অনুসারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর উত্তেজিত আজাদ মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইনসান মিয়ার পক্ষের আনামত মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তাকেও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আজাদ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধে তার স্বামীকে হত্যা করেছে ভাতিজা ইনসান মিয়া। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে ইনসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অপরদিকে, নিহত আমানত মিয়ার মেয়ে মরিয়ম বেগম জানান, তার বাবাকে বাবু ,বশিরসহ বেশ কয়েকজন মিলে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

গ্রাম্যসরদার আবেদুল ইসলাম কবুল বলেন, ‘আজাদ মিয়া এবং ইনসান মিয়ার মধ্যে সম্পদ নিয়ে আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে একটি হত্যাকাণ্ডও ঘটেছিল, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তবে সম্প্রতি বাড়িতে ঘর তোলা নিয়ে তাদের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়।’

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, পৃথক দুটি হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কা/আ