জন্মাষ্টমী আসছে দাদা, আসছে দুর্গাপূজা!

প্রকাশ : 2022-08-17 09:59:12১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জন্মাষ্টমী আসছে দাদা, আসছে দুর্গাপূজা!

অলক মিত্র 
----------------- 

 

অক্টোবরে দুর্গাপূজা আসছে। পূজা উদযাপনের কেমন প্রস্তুতি চলছে দাদারা? নিশ্চয় ভালো? মা দুর্গা একবার আসে কৈলাস হতে তার বাপের বাড়ি। তাঁকে না খাওয়ালে, না পোশাক দিলে মা যে আমার রাগ করবে। কৈলাসের প্রলয় নাচন তো ভানুর ভাষায়, স্বর্গ হতে এখন মর্তে এসে গেছে। 
 
 কুমিল্লার ঘটনায়  রামের অকাল বোধনের মতো অকাল প্রহসনের কথা রামায়ণে স্থান না দেয়া গেলেও বাঙালি হিন্দুদের মনে স্থান দেবার কথা, তাই না দাদারা? পুজারি থাকুক আর নাই থাকুক, পুজো আসছে দাদা। পূজা করতে হবে, লাইটিং করতে হব, নইলে যে হিন্দুত্ব থাকবে না। যতনের  বিধবা বৌটার সিঁদুর মুছে গেছে, যাক, তাতে কী, সিঁদুর খেলতেই হবে, আবিরও খেলতে হবে। 
 
মনে আছে  দিদি? ভুলে যাবেন দিদিরা,  ভুলে যাবেন মায়েরা, সিঁদুর  খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন?  মহা আনন্দ নিয়ে আরতি করবেন, নাচবেন, গাইবেন  প্যান্ডেলে আলোকময় বন্যা বহাবেন। ডিজে নাচে আনন্দের  বাতাস ছড়াবেন  না? রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলবেন আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে…। পূজা শেষে বলবেন, আসছে বছর আবার হবে।
 
 বিজয়ার মিছিলে, জন্মাষ্টমির মিছিলে নাচবেন রাস্তার ধূলো মেখে। লোকের অভাব হবে না। নেতারা নেমন্তন্ন পাবেন রাজকীয়।  ভুলে যাবেন নড়াইল, ভুলে যাবেন চাঁদপুর, ভুলে যাবেন কুমিল্লার নারকীয় কাহিনী। কেবল লোকের অভাব নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে নামার সময়।  শত অনুরোধ করলেও নিজের অস্থিত্ব সংকটের সংগ্রামে এক হবেন না।
 
 সহমর্মিতার জন্য, মন্ডপে মন্ডপে নেতা আসবেন, আমরা নেতাদের পেছনে পেছনে ঘুরবো। নেতাদের পোশাকে সাঁজবো।  প্রশাসন মত বিনিময় করবেন, সবই হব, কেবল হবে না বিচার। দীর্ঘ সূত্রিতায় যতনের বৌয়ের কান্না থামবে না। একদিনে, চারদিনে সম্প্রীতির বন্যায় ভেসে কী লাভ দাদারা? 


 
একেবারেই ভুলে যাব রামু-নাসিরনগর-ব্রাক্ষনবাড়ীয়া-শাল্লা-রংপুর-বরিশাল-পিরোজপুর-নোয়াখালী-চাঁদপুর-নড়াইল…? ভুলে যাব জুতার মালা, যেমন ভুলে গেছি কানে ধরার কথা? আসলে শুধু শ্যামল ভক্তকে নয় আমাদেরই স্ব উদ্যোগে কানে ধরে দাঁড়ানো উচিত দেবীর সামনে। যে সন্তান তার মায়ের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সে সন্তানকে কী বলবো?
  
 দাদা আপনাদের স্বর্গের অপ্সরী দরকার, আমার না। আর মা-ইবা কেমন, সন্তানের চোখের জলের দামও দেয় না। খড়গ হাতে দাঁড়িয়ে প্রলয় নাচন দেখে।কলিকাল দাদাদের ভাষায় ঘোর কলি।এ গুলো না করলে আমাদের মানায়? আমরা ধার্মিক, আমরা পূজারির পোড়া ঘরে মহাদেবের যজ্ঞ সাঁজাতে না পারলে কী আমার ধর্ম থাকে!
 
যাই করুন, আর পূজার আগেই বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। হয়তো নড়াইলের ঘটনাও প্রলেপের আবরনে মুছে দেবেন সব। এদেশের হিন্দুদের ঐক্যবোধ নেই,  একথা বাস্তব সত্য। রথের মিছিলে, বিজয়া দশমির দিনে তারা হাজারো লোকের মিছিল করে পূণ্য কামায়, এক নাম মহাযজ্ঞে কৃষ্ণ নামে রাধা কৃষ্ণরা কান্নার ঢেউ তোলে অথচ নিজেদের অধিকার অর্জনে এরা রাজপথে নামেন না।
 
যতই ঐক্য পরিষদে আর ঐক্য ফ্রন্ট করেন না কেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা –‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা’-- এরকম নীতিতে অটল। ওরা ১৯৪৭ সনে পালিয়েছে, ফেলে গেছে জমি-জমা, ধন-সম্পদ; ১৯৬৪ সনে পালিয়েছে, ফেলে যাবার সম্পদ হয়েছে শত্রু সম্পত্তি। এখন টোকাইদের যেমন আদর করে পথকলি বলি, তেমনি আদর করে শত্রু সম্পত্তিকে বলি অর্পিত সম্পত্তি। কি সুন্দর শব্দদ্বয়, তাই না? পথ কলি বা টোকাইও এখনো একই অবস্থায় আছে, শত্রু সম্পত্তি আর অর্পিত সম্পত্তিও একই অবস্থায় আছে; কোন সমাধান নাই, বরং প্রতিদিন অর্পিত সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে সন্ত্রাসীদের নামে, রাজনীতিবিদদের নামে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে। চোখ বুজে থাকার অভ্যাস এ হিন্দু জাতির, পলায়নে ওস্তাদ এ সম্প্রদায়ের মানুষ। এ শত্রু সম্পত্তি আইনটি ভারতেও হয়েছিল। যুদ্ধকালিন সময়ে কোন নাগরিকদের বিষয়ে সন্দেহ হলে তাদের সম্পদ একটি নিদিষ্ট সময়ের জন্য সরকার তা টেককেয়ার করতে পারে। ভারত যুদ্ধ শেষে তাদের জমি-জমা তাদের উত্তরাধিকার বা রয়ে যাওয়া মুসলমানদের ফেরত দেন। আমাদের ভূখন্ডে পাকিস্তান আমলে তাতো ফেরতই দেয়া হয়নি।  দাম দিয়ে কেনা বাংলাদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের রেখে যাওয়া জমি-জমার সাথে শত্রুর জায়গায় অর্পিত করে ‘যেই লাউ সেই কদু’ করে নিজ দেশে এ জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানি জনগোষ্ঠীর সাথে একীভূত করা হয়।  এ নিয়ে সুশীল সমাজ রাজনৈতিক সকল দল বার বার অঙ্গীকার করলেও তা আর আলোর মুখ দেখে নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪-তে ক্ষমতায় এসে গেজেট করে ক আর খ। সেখানেও আমলারা বাদ সাঁধে। নোটে উল্টা পাল্টা লেখলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তা নিয়ে তারঁ সিন্ধান্ত নেন। এ সিন্ধান্ত  হিন্দু জনগোষ্ঠী মেনে নেন। অথচ এসব বিষয়ে জেলার বিভিন্ন আদালতে রায় দেবার বা নিষ্পত্তি করার হার উল্লেখযোগ্য নয়। 
 
 ধনী ও রাজনৈতিক যোগসূত্র থাকায়  কিছু হিন্দু পরিবার ও তাদের সদস্যরা সুফল পেলেও গরীব অসহায় হিন্দুরা আদালতে যাচ্ছেন আর আসছেন। শুধু সময় ক্ষেপন। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আবার আন্দোলন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে বহু ঘোলা করা হয় জল। 
 
 ২০০১ সনে আওয়ামী লীগ হারলে বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার এক কালো ইতিহাস রচনা করে। ১৯৮৯, ১৯৯১ প্রেসিডেন্ট এরশাদও কম যায়নি, রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, জন্মাষ্টমির ছুটিও দিয়েছেন –আর আমরা এ ছুটি নিয়ে যার পর নাই খুশী। 
 
রাজকীয় খাবার খেতে যাবেন নেতারা। ভুলেও প্রশ্ন করবেন না  ৭২ এর  সংবিধান কই? কই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি?  দাদারা বলবেন নেমন্তন্ন খেতে গিয়ে প্রশ্ন করা যায় না। বরং সেলফি তোলা যায়, সম্ভব হলে খাবারের ছবিও  তোলা যায়, ফেসবুকেও দেয়া যায়, প্রশ্ন করে বিড়ম্ভনায় ফেলা যায় না।  আরে দাদা , দিদিরা, পৃথিবীর বহু সমস্যা খাবার টেবিলে শেষ হয়েছে। কথাটি একটু ভাববেন।
 
আজকের আওয়ামী লীগের আমলে তো রামু-নাসিরনগর-ব্রাক্ষনবাড়ীয়া-শাল্লা-রংপুর-বরিশাল-পিরোজপুর- নোয়াখালী-চাঁদপুর-নড়াইল…।  নবরুপে ডিজিটাল কায়দায় একই নাটক ফেইসবুকে অবমাননা উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে চলছে নিত্যদিন, এক অরাজক অবস্থা।  সুবোধরা পালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।  সুবোধরা সংখ্যায় এখন ৮ শতক হতে ৭.৫ শতকে। ভোটের রাজ্যে একসময় এরা ফ্যাক্টর হলেও এখন এরা ভোট দিলেও বিপদ না দিলেও বিপদ। 
 
একেকটি মামলায় শত শত লোককে আসামি করা হয়। মামলার বিচার আর হয় না। দৃষ্টান্তমূলক একটি দুটির বিচার হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একসময় সরকারীদল বলতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এখন পরপর বেশকটি ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন বলাটা থেমেছে। রোহিঙ্গাদের সরকার ভাষানটেকে আশ্রয় দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্টান নৃগোষ্ঠী সবার অবদান রয়েছে। এদেশ হতে অবোধ বড় নেতারা পালিয়ে গেলেও সুবোধরা কোথাও পালাবে না। ওদের জন্য আর কিছু না পারেন দাদারা, ভাষানটেকের মতো একটা জায়গা নির্ধারন করে ভূমিপুত্রদের এ ধরনের বৈষম্যমুলক আইন সন্ত্রাস হতে রক্ষা করুন।
 
একটা কথা মনে রাখতে হবে ৬২ টি আসনও এখন হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভোট নির্ধারনে অন্যতম শক্তি। তাই তো এসব সিটে হিন্দুদের উপর অত্যাচারটাও বেশী। আওয়ামীলীগ একেবারেই উদাসীন।  নির্বাচন আসবে, পূজা আসবে, আপদ-বিপদের সংখ্যা ভারী হবে। হিন্দু মানে আওয়ামী লীগার এ ধারনা কম বেশী সত্য। নৌকা মার্কা তাদের জীবনের সাথে আছে। একাত্তর সনে এই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন দালাল ছিলো ন--এটা সত্যি নয় জলন্ত ইতিহাস। অথচ এরা আজ জলদাস সুবোধ হয়ে বেঁচে আছে। 
 
 ভারতে  হিন্দু মৌলবাদী সরকার। এ সরকার তার ধর্মকে ট্রাম্প কার্ড ব্যবহার করে বিভাজনের রাজনীতির জোরে ক্ষমতায় এসেছে। ভারতের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি করার লোক সরকার ও বিরোধী উভয় দলেই আছে। গোমাতাকে তারা পূজিত করে করুক, বাঙালি জয়শ্রী রাম কখন বলেনি, বলে জয় মা দূর্গা। অথচ ভারতে এই জয়শ্রীরাম বলে মানুষ হত্যা বা গোমাংশ খাবার অপরাধে হত্যা--এটা কোন মানবিকতা বা ধর্ম আমি জানি না। আশার কথা বহুত্ববাদের  ভারতে এ নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ প্রতিবাদ করেছিলন ওপার বাংলার মানুষ জন। ভারতের এসব উদাহরন টেনে ঘরের পাশের সুবোধের ঘরে হামলা কোন নৈতিকতা? ভারত বিরাট দেশ । ওদের সংস্কতি একেক রাজ্যভেদে একেক প্রকার।বাঙালি সংস্কৃতি এ পাড় আর ওপাড়ে প্রায় এক ও অভিন্ন। 
 
ধর্ম আর সংস্কৃতিকে  মৌলবাদীরা এক করে ফেলেছে। তা  এ পার আর ও পার যাই বলেন না কেন। এক নুপুর শর্মা ভারতের সকল সংখ্যালঘু মুসলিমদের এক করেছিলো। তারা তীব্র প্রতিবাদ করেছিল।  
 
বাংলাদেশের সুবোধরা ওখান হতে কেউ শিখেনি, আর শিখবেও না। ওরা রাজপথে নামবে না। ওরা প্রতিবাদের ভাষা জানে না, জানে নগর কির্ত্তন। সকল রাজ্য সরকার বিশেষ করে পশ্চিম বাংলায় যে প্রতিরোধ করেছিল শেষতক আদালত পর্যন্ত এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়।
 
 বাংলাদেশে  ধারাবাহিক ভাবে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে, এখানকার সংখ্যালঘু নেতারা বিশেষ করে সরকারি দলের কেউ এ নিয়ে মুখ খু্লেন না।  তারা তো নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, কেন কথা বলেন না? শত্রুরা বলেন যারা ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তারা প্রায় সবাই সরকারী দলের নেতা- কর্মী-সমর্থক। বিএনপির আমলে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনরা কত প্রতিবাদ করেছেন, এখন একটি কথা বলেন না। এমপি পদ হারানোর ভয়,  সেই সাথে সপরিবারে বড় বড় পদ, পুরষ্কারের লোভে সবাই নিরব। কারাবালার বিলাপ--হায় হোসেন হায় হোসেন এর মত আমাদের কাঁদতে হয়, হায় সুরন্জিত সেনগুপ্ত, হায় সুরন্জিত সেনগুপ্ত! আজ তাকে কত প্রয়োজন ছিল আমাদের!
 
২০০১ সালে বিএনপির সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নিয়ে সংসদে কথা বলেন অথচ বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট বাস্তবায়ন করেন না। কেন করেন না? গত দূর্গা পূজোতে কুমিল্লা সহ ৩৬ টি জায়গায় যে বিভীষিকা চালানো হলো এ নিয়ে বিএনপির গয়েশ্বর বাবু চিৎকার করলেও ২০০১ নিয়ে কথা বলেন না কেন ? রাজনৈতিক কারনে নিঃসন্দেহে?  
 
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই, বিশেষ করে পাক - ভারত- বাংলাদেশে মাইনরিটি  ফোরাম আছে। বাংলাদেশে তা দ্বিধাবিভক্ত।  ঐক্য ফ্রন্ট বিএনপির, ঐক্য পরিষদ আওয়ামী লীগের। আজ ৭.৫ শতাংশ বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী, প্রতিদিন কমছে, কিন্তু কেন? 
 
আগে এক সময় এ দেশে হিন্দুদের ভোটের প্রয়োজন ছিলো বর্তমান সরকারের। হিন্দুদের মধ্যে একটা স্বাভাবিক  প্রক্রিয়া ওরা জয়বাংলা বলে আর নৌকায় ভোট দেয়। তাহলে এই সরকারের আমলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় টার্গেট করে আক্রমন করা হচ্ছে কেন? শুধু মৌলবাদী চক্র করছে বললে ভুল হবে, স্থানীয় ভাবে আওয়ামী নেতৃত্বে এখন প্রগতিশীলতার চেতনার অভাব দেখা দিয়েছে। তারা নিজদের স্বার্থে  এ সংখ্যালঘুদের বলির পাঠা বানাচ্ছে। এদেশের অধিকাংশ মানুষ তার ধর্ম পালনের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক। 
 
 কিছু লোক সুযোগ নেয়, তারা  তাদের অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের জন্য কোন এক রসরাজ, কোন এক আকাশের নামে নিজেরা ফেইক আইডি খুলে হিন্দু নামে নিজ ধর্মের স্পর্শকাতর বিষয়ে লিখে এসব করছে। এখানে কে নিজ ধর্মকে আঘাত করলো? এসব প্রশ্ন করার লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রশ্ন করলে হয় নাস্তিক, নয় অন্য কিছু, তাই তো আজ সাহসে ভর করা মানুষ কমে যাচ্ছে,  তাতে সংখ্যালঘুরা  কেবল আতংকিত নয়, উৎকন্ঠায়  দিন গুনছে, মুক্তবুদ্ধি প্রগতীশীল মানুষজনের একই অবস্থা। এ গভীর ষড়যন্ত্র  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।  অথচ দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এখনো ঘুমিয়ে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বলি হয় হিন্দুরা। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে আর যাই হোক, আগামী নির্বাচনে বৈতরনি পাড় হওয়া কঠিন হবে। আজো ৬২ টি সিট সংখ্যা লঘুরা ভোটের ফ্যক্টর।
 
 শুরু করেছিলাম পূজোর কথা বলে, বহু কথা বা কারো ভাষায় বেশী কথা বলে ফেললাম হয়তো। পূজো আসছে, পূজো হবে তবে এবার মায়ের মূর্তি অবয়ব হোক নড়াইলের কান্নাজড়িত মায়ের মুখটি অনুসরন  করে। কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ এ সিন্ধান্তটা দিলে বলতে পারবো সুবোধরা একটু হলেও বুক বেঁধে দাঁড়াতে শিখেছে।

লেখক: লৌহজং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক