চুরির অপরাধে কিশোরের পরিবার থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের পাঁয়তারা
প্রকাশ : 2021-05-08 21:10:43১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
চুরির অপরাধে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য এক কিশোরের পরিবারকে চাপ ও হুমকী-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের এসব অন্যায় চাহিদা থেকে মুক্তি পেতে শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোর পরিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুরির অপরাধে অভিযুক্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার দক্ষিন খানপুর গ্রামের কিশোর হেলাল শেখের মা হোসনে আরা পুতুল। এসময় কিশোর হেলাল শেখ ও তার পিতা আঃ সালাম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
কিশোর হেলাল শেখের মা হোসনে আরা পুতুল বলেন, মাস পাচেক আগে দক্ষিন খানপুর গ্রামের এক হিন্দু ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৫৫ হাজার টাকা চুরি হয়। পরে জানতে পারি প্রতিবেশী একটি ছেলেকে সাথে মিশে আমার ১৪ বছর বয়সী ছেলে হেলাল শেখ এই টাকা চুরি করে। আমরা পারিবারিকভাবে ছেলেকে শাসন করি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন আমাদেরকে মুঠোফোনে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। তখন চেয়ারম্যান আমাদেরকে বলে দুই দিনের মধ্যে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে যাবি আমার কাছে। এসব অন্য কাউকে বলবি না। আমি দুই দিনের মধ্যে টাকা দিতে পারিনি। অনেকদিন পার হয়ে গেলেও টাকা দিতে না পারায় ২৭ এপ্রিল আবার চেয়ারম্যান আমাদেরকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে একটি শালীস বৈঠক পাতিয়ে চুরির অপরাধে আমাদের পরিবারকে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমরা নানা ভাবে আকুতি মিনতি করলেও চেয়ারম্যানের মন গলেনি। এসময় আনিস নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক আমাদের ছবি তোলেন। ওই সাংবাদিকও আমাদের নানা রকম আপত্তিকর কথা বলেন। পরবর্তীতে জোরপূর্বক আমার নামীয় অগ্রনী ব্যাংকের একটি চেকে এবং একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয় চেয়ারম্যান। টাকা না দেওয়ায় আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করার হুমকী দিচ্ছে চেয়ারম্যান।
হোসনে আরা পুতুল আরও বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ৩ নং (৭,৮,৯ সাধারণ) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের একজন সদস্য প্রার্থী। চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিনের স্ত্রী শিলা বেগমও একই ওয়ার্ডের প্রার্থী। এ কারণে আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য চেয়ারম্যান এসব পায়তারা করছে। চেয়ারম্যানের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছেন ওই নারী।
চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন বলেন, হোসনে আরা পুতুলের ছেলে হেলাল শেখ ৫টি বাড়ি থেকে অন্তত ৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকা চুরি করেছে। হেলাল এসব চুরির কথা স্বীকার করেছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালীস মীমাংসায় তার পরিবারকে এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। তখন ওই নারী ও তার পরিবার টাকা দেওয়ার জন্য চেক ও ষ্টাম্প প্রদান করেন। এখন টাকা না দেওয়ার জন্য এসব পায়তারা করছেন।