চুক্তি চাইলে ট্রাম্পকে খামেনির প্রতি অসম্মানজনক ভাষা বন্ধ করতে হবে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : 2025-06-28 11:20:11১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

এএফপি তেহরান: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি ‘সহিংস ও অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে বাঁচিয়েছেন তিনি।আজ শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে ‘অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরাগচি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি মনেপ্রাণে চুক্তি করতে চান, তাহলে তাঁকে আয়াতুল্লাহ খামেনির প্রতি অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে এবং তাঁর কোটি ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
আরাগচি আরও বলেন, ‘যে গৌরবান্বিত ও শক্তিশালী ইরানি জনগণ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে ইসরায়েলি বাহিনীকে তাদের “ড্যাডি”-এর কাছে ছুটতে হয়েছে, তারা (ইরানি জনগণ) হুমকি বা অপমান একটুও সহ্য করেন না।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। তবে এ হামলা কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এ হামলার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৩ জুন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া ওই সংঘাত ১২ দিন স্থায়ী হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
ট্রাম্প গত শনিবার তাঁর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, তিনি খামেনিকে হত্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি ঠিক জানতাম, তিনি (খামেনি) কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন। আমি ইসরায়েলকে ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে তাঁর জীবন শেষ করতে দিইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁকে এক সহিংস ও অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। তাঁর আমাকে “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প”বলা লাগবে না!’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কাজ করছিলেন, যা তেহরানের অন্যতম প্রধান দাবি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কিন্তু তা হলো না। এর বদলে আমার বিরুদ্ধে রাগ, ঘৃণা আর ক্ষোভ ঝাড়া হলো। সঙ্গে সঙ্গেই নিষেধাজ্ঞা শিথিলসহ অন্য সব কাজ বন্ধ করে দিই।’ ইরানকে আবার আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বানও জানান ট্রাম্প।
তবে ইরান বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও পরমাণু আলোচনা শুরু করার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা করেনি। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, আগামী সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হবে।