চিলিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করলো ব্রাজিল

প্রকাশ : 2021-09-03 09:40:18১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

চিলিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করলো ব্রাজিল

প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাব খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি হয়নি। তাই মূল একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে স্কোয়াডেই পায়নি ব্রাজিল! অথচ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছে চিলির মাঠে। কিন্তু কোনও সমস্যাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সেলেসাওদের সামনে। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ছুটে চলেছে তাদের জয়রথ। পেয়েছে টানা সপ্তম জয়।

আজ (শুক্রবার) চিলির মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল ব্রাজিল। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নেইমাররা পেয়েছে ১-০ গোলের জয়। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন এভারতন রিবেইরো। এই জয়ে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখলো ব্রাজিল। ৭ ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করলো তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।

চিলির এস্তাদিও মনুমেন্তাল দাভিদ আরেয়ানোয় প্রথমার্ধ ছিল স্বাগতিকদের দাপট। ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার ওয়েভারতনের দুর্দান্ত সেভ, সুযোগ নষ্ট ও দুর্ভাগ্যের মিশেলে গোল পাওয়া হয়নি চিলিয়ানদের। একবার বল জাড়েও জড়িয়েছিল, কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়। বিপরীতে দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি বেশ ভুগিয়েছে ব্রাজিল। নেইমারও পারছিলেন না চিলির রক্ষণ ভাঙতে। তাই প্রথমার্ধে আসেনি কোনও গোল।

লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোতে খেলোয়াড় পাঠায়নি প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাব। কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে খেলোয়াড়দের লম্বা সময় ‘হারানো’র শঙ্কায় তাদের এই অবস্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সম্ভবত ব্রাজিল। তিতে পাননি থিয়াগো সিলভা, রবের্তো ফিরমিনো, ফাবিনিয়ো, আলিসন বেকার, এদেরসন, গাব্রিয়েল জেসুস, ফ্রেদ, রাফিনিয়া ও রিচার্লিসনকে। অন্য সব পজিশনে অভাব বোধ করলেও গোলকিপারের জায়গা পুষিয়ে দিয়েছেন ওয়েভারতন। পালমেইরাসের এই গোলকিপার দুর্দান্ত সেভে রেখেছেন ক্লিনশিট।

৩০ মিনিটে করেছেন ডাবল সেভ। আরতুরো ভিদালের বুলেট গতির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করন প্রথমে, কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় পেয়ে যান এদুয়ার্দো ভার্গাস। এই ফরোয়ার্ডের হেড দ্বিতীয় দফায় আবারও প্রতিহত করেন ব্রাজিল গোলকিপার। মিনিট দুয়েক পর বল জালে জড়িয়েই দেয় চিলি। মোরালেস প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের উদযাপনও শুরু করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে উঠে গেছে লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা।

ওদিকে নেইমার-গাব্রিয়েল বারবোসাদের সুযোগ নষ্টে ব্রাজিলের আক্রমণ বারবার প্রতিহত হচ্ছিল। নেইমার শূন্যে উড়িয়ে মেরেছেন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সমন্বয়ের অভাব ছিল, লুকাস পাকিতা হতাশ করেছেন। তারপরও শেষ হাসিটা হেসেছে ব্রাজিলেই। বল পজেশন কিংবা শট সংখ্যা চিলি থেকে পিছিয়ে থাকলেও স্কোরলাইনে তারাই ‘রাজা’। ৬৪ মিনিটে সেলেসাওদের জয়সূচক গোলটি করেন এভারতন। নেইমারের শট চিলি গোলকিপার ক্লাউদিও ব্রাভো প্রতিহত করলে ফিরতি বল বাঁ পায়ের শটে জড়িয়ে দেন জালে। এই গোলটিই ব্রাজিলকে এনে দিয়েছে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারের পর আজকের ম্যাচ দিয়েই প্রথমবার মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। ঘরের মাঠের ফাইনাল হারের দুঃখ কাটিয়ে উঠতে জয়টা ভীষণ দরকার ছিল তাদের। মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের, তখন আগের সেই ব্রাজিলকেই পাওয়া গেলো। টানা সপ্তম জয়ে আর্জেন্টিনা ম্যাচের ‘প্রস্তুতি’ সেরে রাখলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরের তো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলেরই্!