চিরকুট নিয়ে আসা সেই ‘কণ্ঠী ঘুঘু’ অবশেষে অবমুক্ত

প্রকাশ : 2021-06-02 11:30:08১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

চিরকুট নিয়ে আসা সেই ‘কণ্ঠী ঘুঘু’ অবশেষে অবমুক্ত

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে চিঠি নিয়ে আসা ‘কণ্ঠী ঘুঘু’ পাখিটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে পাখিটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাখিটির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট ছিল। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যা দেখতে উৎসুক গ্রামবাসীর ভিড়ও জমে।

 সোমবার (৩১ মে) দুপুরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে আসে একটি পাখি। পাখিটির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট ছিল। পরে বাড়ির মালিকের স্ত্রী কৌশলে পাখিটি আটক করে।  এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পাখিটি ও তার ঠোঁট থেকে আরবি ও বাংলায় লেখা চিঠিটি দেখতে উৎসুক গ্রামবাসীর ভিড়ও জমে।

পাখিটি ছেড়েও দেওয়া হলেও পাখি যে চিঠি বহন করছিল, সেটি কে বা কারা পাঠিয়েছে, তা জানা যায়নি। চিঠিটি সংরক্ষণ করছেন বাড়ির মালিক সন্তোষ প্রামাণিক।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো.ফজলে রাব্বী জানান, খবর পেয়ে তিনি মঙ্গলবার দুপুরে তেঘরিয়ার কৃষক সন্তোষ প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে পাখিটি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হন, এটি একটি কণ্ঠী ঘুঘু। বাড়ির মালিককে বোঝানোর পর ঘুঘুটিকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পাখিটির বহন করা আরবি-বাংলায় লেখা চিঠিটি বাড়ির মালিক স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য রেখে দিয়েছেন।

বাড়ির মালিক সন্তোষ প্রামাণিক জানান, সোমবার দুপুরে বাড়িতে আসার পর থেকে শত শত মানুষ পাখিটি দেখার জন্য ভিড় করে। তিনি পাখিটিকে এক দিন আটকে রাখলেও কোনো অযত্ন করেননি। নিয়মিত খেতে দিয়েছেন।পরিবেশকর্মীদের অনুরোধে তিনি পাখিটি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে স্মৃতি হিসেবে চিঠিটি রেখে দিয়েছেন।