চার মাস পর সর্বনিম্ন মৃত্যু, শনাক্তের হার ৪.১২

প্রকাশ : 2021-09-29 18:41:24১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

চার মাস পর সর্বনিম্ন মৃত্যু, শনাক্তের হার ৪.১২

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৮৭ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৭৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১ জন। মৃত ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও সাত জন নারী। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬২ জন।

সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮২১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮ হাজার ২৬০টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫৯৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৭ লাখ চার  হাজার ৭২২টি।   

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হাড় চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১২ জন,চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪ জন,বেসরকারি হাসপাতালে তিন জন মারা যান।     

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন,৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চার জন,৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।        

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৮৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৫৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮০ হাজার ৬৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪১ হাজার ৯০৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।