চাকরি চেয়েও পাননি ইলন মাস্ক
প্রকাশ : 2021-04-24 13:55:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ইলন মাস্ক প্রযুক্তি বিশ্বে অতি পরিচিত একটি নাম। তাঁর ক্যারিয়ারের অনেক কিছু সবার জানা। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁর সাফল্যভরা জীবনের কিছু রহস্যঘেরা দিকও আছে। যেমন ইলন মাস্ক চাকরি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। এ কথা হয়তো সবার জানা নেই। কিন্তু বিষয়টি এবার সামনে এনেছেন এক টুইটার ব্যবহারকারী।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে এক টুইটে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে একটি ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি খুঁজতে গিয়ে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছিল ইলনকে। ১৯৯৫ সালে তিনি স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নেটস্কেপে একটি পদে আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নেটস্কেপ ওই সময় ইন্টারনেট, সফটওয়্যার ও টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। তার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে নেটস্কেপ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইলন চেয়েছিলেন ওই নতুন প্রতিষ্ঠানে তিনি ক্যারিয়ার গড়বেন। তিনি তাঁর জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চাকরি হয়নি।
টুইটার ব্যবহারকারী @PPathole এই কাহিনি টুইটারে দেওয়ার পাশাপাশি ইলনের তরুণ বয়সের একটি ছবি পোস্ট করেন। তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ইলন চাকরি না পেয়ে পরে নিজেই ইন্টারনেট কোম্পানি চালু করেন। তাঁর ওই কোম্পানির নাম ছিল জিপ টু।
ইলনের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে করা টুইটটি তাঁর নজর এড়ায়নি। তিনি এর জবাব দিয়েছেন। তিনি উত্তরে বলেছেন, তিনি ওই সময় চাকরি পাননি, বিষয়টি সে রকম নয়। তিনি চাইলে অন্য চাকরি পেতে পারতেন। তবে তা ইন্টারনেট কোম্পানিতে হতো না। কারণ, ওই সময় খুব বেশি ইন্টারনেট কোম্পানি ছিল না।
ইলন টুইটারে দারুণ সক্রিয়। ওই টুইটার ব্যবহারকারীর টুইটের জবাব দেওয়ার পর তা ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছেন। অনেকেই তাঁর ওই পরিস্থিতি থেকে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানোর বিষয়ে প্রশংসা করেছেন।
টুইটারে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করে, কোনো জায়গায় কেউ যদি চাকরি না পান, তার অর্থ এই নয় যে তাঁর কোনো বিশেষত্ব নেই। নেটস্কেপের চেয়ে টেসলার মূল্য অনেক গুণ বেশি। টেসলার প্রধান নির্বাহীর আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘আপনি আজ কোথায় আর কী অর্জন করেছেন, তা দেখুন।’
ফোর্বস–এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার লড়াইয়ে আমাজনের জেফ বেজোসের সঙ্গে লড়ছেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধনী তিনি। গত বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।