চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার নিয়োগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল
প্রকাশ : 2022-09-01 12:37:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরিতে পুর্নবহালের সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে তারা আর চাকরিতে ফিরতে পারছেন না।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করা হয়। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আপিল বিভাগ ১ সেপ্টেম্বর (আজ) দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে এ বিষয়ে রায় দেওয়া হয়।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। গত ২৮ আগস্ট এসব আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
অন্যদিকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়।
জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ মামলা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় দেন।