ঘূর্ণিঝড় কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৪
প্রকাশ : 2025-11-06 11:54:45১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জন। এছাড়া, ১২৭ জন মানুষের এখন পর্যন্ত কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আঘাত হানে কালমেগি। দুদিনের তাণ্ডবের পর ঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
কালমেগি আঘাত হানার আগে দুই লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয় ইন্দোনেশীয় সরকার। এখন অনেকে ঘরে ফিরে দেখেন, তাদের বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ কাদামাটি সরিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কারের কাজে নেমে গেছেন।
দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবু প্রদেশ। সেখানে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র স্পষ্ট বোঝা গেছে। ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি, উল্টে থাকা যানবাহন আর ধ্বংসাবশেষে ভর্তি রাস্তাঘাটে পুরো এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কালমেগি (স্থানীয় নাম টিনো) দেশের সীমানা পেরিয়ে গেলেও মিন্দানাও দ্বীপের পূর্ব দিকে আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা পরের সপ্তাহের শুরুতে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কালমেগি দক্ষিণ চীন সাগর অতিক্রম করে ভিয়েতনামে প্রবেশের আগে আবারও শক্তি সঞ্চয় করছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলের একাধিক প্রদেশ, বিশেষ করে কফি উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে, যেখানে এখন ফসল তোলার মৌসুম চলছে, কালমেগি আঘাত হানতে পারে।
ভিয়েতনামের জিয়া লাই প্রদেশে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়া এবং কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, সম্ভাব্য উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করতে হাজারো সেনা ইতোমধ্যে মোতায়েন করেছে ভিয়েতনাম সরকার।
কা/আ