‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ দিয়ে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়লো গ্রামীণফোন ও টেলিনরের কর্মীরা
প্রকাশ : 2021-11-12 18:02:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের দ্রুত পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে দক্ষতার আপস্কিলিং ও রিস্কিলিং করার মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ টেলিনরের কর্মীরা। আর এ লক্ষ্যেই, টেলিনরের নর্ডিক ও এশিয়া অঞ্চলের কর্মীরা ই-লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। টেলিনরের এমন অভাবনীয় অর্জনের সাফল্য উদযাপন করছে বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন।
২৪ ঘণ্টায় অনলাইনে পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট লেসনে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী নিয়ে নতুন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে টেলিনর গ্রুপ। গত ২৭ অক্টোবর ৭টা থেকে (সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম) টেলিনরের কর্মীরা অনলাইন কোর্স করা শুরু করেন। এবং পরবর্তী দিনের একই সময়ের মধ্যে টেলিনরের ৪,৫০৪ জন কর্মী ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ ই-লার্নিং কোর্স সম্পন্ন করেন। গ্রামীণফোনের ১০১১ কর্মী ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ কোর্সটি সম্পন্ন করেন এবং টেলিনর গ্রুপের এ উল্লেখযোগ্য অর্জনে অবদান রাখেন।
‘কাস্টমার বিহেভিয়ার’এ দ্রুতই পরিবর্তন ঘটছে, যা ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরাণ্বিত করেছে। টেলিনর ও গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটাতে ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টায় ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ -কে কোর্স হিসেবে নির্বাচনের কারণ কর্মীদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে পরিবর্তনের তাড়না সৃষ্টি করা। গবেষণা অনুযায়ী, যখন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রবৃদ্ধির মানসিকতাকে উৎসাহিত করেন এবং এমন কর্ম পরিবেশ তৈরি করেন যেখানে কর্মীরা ভুল থেকে শেখাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন, এমন কাজের পরিবেশে কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা, শেখার প্রবণতা ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পায়।
এ ব্যাপারে টেলিনর গ্রুপের ইভিপি ও চিফ পিপল অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অফিসার সিসিলিয়ে হিউছ বলেন, “আমাদের বিশ্বাস সমাজের ডিজিটালাইজেশন বর্তমান ও ভবিষ্যতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধানে নতুন নতুন বিকল্প নিয়ে আসবে। তবে, ডিজিটাল ভবিষ্যতের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ওপর – কীভাবে আমরা নতুন ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের পথ সুগম করতে পারি। এজন্য, কর্মীদের আপস্কিলিং ও রিস্কিলিং -এর ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের শেখার প্রচেষ্টাকে ত্বরাণ্বিত করেছি।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “১৬৪ বছরের বেশি সময় ধরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে কানেক্ট করতে ভূমিকা রেখে চলেছে টেলিনর। টেলিনরের নতুন বিষয় উন্মোচন ও শেখার মানসিকতাকে আমরা গ্রামীণফোনে ধারণ করেছি। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করায় আমরা প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখে চলেছি। আমাদের শেখার সংস্কৃতি, নিজেদের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক থাকা এবং গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের প্রচেষ্টার প্রতিফলন এই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এমন একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়তে ও প্রবৃদ্ধির সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে অবদান রাখার জন্য সারা বিশ্বের আমাদের সকল সহকর্মীকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
গ্রামীণফোনের কর্মীদের মধ্যে যারা ব্যাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন তাসনিয়া কবির তন্মনা। বৈশ্বিক পরিসরে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার মতো একটি বিশাল ইভেন্টে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তন্মনা বলেন, “বর্তমান বিশ্বে চলতে গেলে প্রবৃদ্ধির মানসিকতা ধারণ থাকতে হবে। আমাদের জীবনের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে নিজেকে প্রস্তুত করতে হলে নিজেদের মধ্যে এমন মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন। জীবনধারণের ক্ষেত্রে এ মানসিকতা থাকা আপনাকে এগিয়ে রাখবে।”
টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ব্রেক্কে বলেন, “যেসব দেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেসব দেশে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হতে চাই। এটা নিশ্চিত করতে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার উন্নয়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।” এজন্য, ২০১৮ সালে তিনি সকল কর্মীকে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪০ ঘণ্টা দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকরী শিক্ষা গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
২০২০ সালে, টেলিনরের কর্মচারীরা গড়ে ৫৩.৫ ঘণ্টার আপস্কিলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। পূর্ববর্তী বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে টেলিনর এ বছর নিয়ে এসেছে ‘টেলিনর ইউ’ প্ল্যাটফর্ম। এই সেলফ ডেভেলপমেন্ট লার্নিং ইকোসিস্টেম কর্মীদের শেখার ক্ষেত্রে কাঠামোগত সহায়তা করেছে। কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে শেখা ও আপস্কিলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে কর্মীরা গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে কানেক্ট করতে এবং সমাজের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।