গীতিকার-কলামিস্ট কে জি মোস্তফা আর নেই 

প্রকাশ : 2022-05-09 11:12:35১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

গীতিকার-কলামিস্ট কে জি মোস্তফা আর নেই 

গীতিকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট কে জি মোস্তফা আর নেই। রোববার (৮ মে) রাত ৮টার দিকে আজিমপুরে নিজ বাসায় অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৯ মে) বাদ জোহর কে জি মোস্তফার মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেওয়া হবে। সেখানে তার জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।

কে জি মোস্তফার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১ জুলাই, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষানবিশ হিসেবে তার হাতেখড়ি দৈনিক ইত্তেহাদে, ১৯৫৮ সালে। ওই বছরই ‘দৈনিক মজলুম’-এ সহ-সম্পাদক পদে নিয়োগ পান। পত্রিকাটি বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বহাল ছিলেন।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৬৮ সালে ফের সাংবাদিকতা শুরু করে সাপ্তাহিক জনতায়। ১৯৭০ সালে সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা কফিলউদ্দীন চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। সে সময় তিনি সরকারি চাকরি হিসেবে প্রথম শ্রেণির রেডিও সার্ভিসের জন্যও মনোনীত হন। তবে মুক্তিযুদ্ধের কারণে সে চাকরিতে যোগ দেননি তিনি।

স্বাধীনতার পর কে জি মোস্তফা প্রথমে ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ ও পরে ‘দৈনিক স্বদেশ’ পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ‘দৈনিক জনপদে’ কাজ করেন কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে। ওই সময় ‘নূপুর’ নামে একটি বিনোদন মাসিকও সম্পাদনা করতেন।

১৯৭৬ সালে বিলুপ্ত সংবাদপত্রের একজন সাংবাদিক হিসেবে কে জি মোস্তফা বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত হন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরে সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে প্রথমে সম্পাদক, পরে সিনিয়র সম্পাদক পদে উন্নীত হন। অবসর নেন ১৯৯৬ সালে।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর থেকে প্রকাশিত কিশোর পত্রিকা ‘নবারুণ’, সাহিত্য মাসিক ‘পূর্বাচল’, ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সংবাদ’ এবং সবশেষ ‘সচিত্র বাংলাদেশ’ পত্রিকার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন কে জি মোস্তফা। ওই সময় কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের মুখপত্র ‘অগ্রদূত’-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন।

গুণী এ মানুষটি অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী এবং জনপ্রিয় দুই গান ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ এবং ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’-এর গীতিকার তিনি। প্রথম গানটি এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’ এবং দ্বিতীয় গানটি অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘নাচের পুতুল’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি গানেরই সুর করেছেন রবিন ঘোষ। প্রথম গানটি গেয়েছেন তালাত মাহমুদ। দ্বিতীয়টি গেয়েছেন মাহমুদুন্নবী।