গণতন্ত্র সুসংহত করতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য: সিইসি
প্রকাশ : 2022-03-22 15:03:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে ও মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্র সুসংহত করতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির জন্য দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সংলাপে উপস্থিত আছেন ১৭ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। বেলা সোয়া ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়েছে। সংলাপে মতামত দেওয়ার জন্য ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ইসির যুগ্মসচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, বৈঠক চলছে। আজকের বৈঠকের উপস্থিত হতে গত ১৫ মার্চ আমন্ত্রণ জানিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
সংলাপে যারা উপস্থিত হয়েছেন—
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান [সিইউএস] অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের [সিপিডি] সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. জহুরুল আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান।
এছাড়া বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর, ইসি সচিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ ৩০ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। যদিও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওইদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
আগামী ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। এরপর নারী নেত্রী ও দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠকে বসবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, বর্তমান আউয়াল কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার অংশ হিসেবে এসব বৈঠকের আয়োজন করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম সংলাপে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পেয়েছে ইসি। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখা ইত্যাদি।