গজারিয়ায় ধসে পড়ল গৃহহীনদের একটি ঘর, ঝুঁকিতে আরও ২৭টি
প্রকাশ : 2021-07-05 21:10:15১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে বড় রায়পাড়া গ্রামে মেঘনা নদী ঘেষাঁ খাস জমিতে নির্মিত ২৮টি ঘরের মধ্যে ১টি ঘরের বারান্দা ধসে পড়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এসব ঘর নির্মান করা হয়। গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে এই ঘরটির বারান্দার কিছু অংশ শুক্রবার সকালে ধসে পড়ে। ঘরে নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ধসে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে নির্মিত ২৮টি ঘরের মধ্যে আরও ২৭টি ঘর মেঘনার ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে।
জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে বড় রায়পাড়া গ্রামে মেঘনা নদী ঘেষাঁ খাস জমিতে নির্মিত ২৮টি ঘর গৃহহীন পরিবারকে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এরপর সেখানে বর্তমানে ৫টি পরিবার বসবাস করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মিত ঘরের মধ্যে ২৭ নম্বর ঘরের বারান্দার অংশ ও ১টি কলম ধসে পড়েছে। পাশের ২৮ নম্বর ঘরটিরও একই অবস্থা। তলদেশে মাটি সরে যাওয়ায় ধসে পড়ায় এখন আরও ২৭টি ঘরও ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর ঘরটি যেকোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভেঙে যাওয়া ২৭ নম্বর ঘরের মালিক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, দেশে বন্যা ও বর্ষায় ভারী বর্ষনে নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। তাই মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নদীর তীরের খাস জমিতে প্রকল্পের ঘর ২৮ নির্মান করা ভুল সিদ্ধান্ত। অথচ গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি অনেক খাস জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেসব স্থানের পরিবর্তে নদীর তীরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় শুরুতেই ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে। জানা গেছে, প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও স্থান নির্বাচন এবং কাজের মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।
গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, অতি বৃষ্টিপাতের কারনে তলদেশের মাটি সরে গিয়ে ১টি ঘরের কিছু অংশ ও ১টি কলম ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে ঘরটির মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ১টি ঘরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসব ঘরের ভিত্ত বেশি গভীর না হওয়ায় এমনটা হয়েছে। ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট দফতর মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি গাইডলাইন মেনে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। তাই ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।