খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ের
প্রকাশ : 2022-09-18 14:33:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সম্মতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এজন্য দেশে থেকেই চিকিৎসা নেওয়া, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া এবং বিদেশ না যাওয়ার আগের শর্ত দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দেওয়া হয়। আজই এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, সেটির ওপর মতামত নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয় যে মতামত দিয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর মতামত নেওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন দুপুরে বিএনপি প্রধানের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে গত মার্চে আগের সব শর্ত বহাল রেখে পঞ্চমবারের মতো বিএনপি প্রধানের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। সেই মেয়াদ ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠবারের মতো বাড়ছে বলে আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তির জন্য সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি বারবার এভারকেয়ারে যান এবং সেখানে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।