কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির দাম, এখনো চড়া আলু ও সয়াবিন তেল

প্রকাশ : 2024-11-22 10:35:44১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির দাম, এখনো চড়া আলু ও সয়াবিন তেল

সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির। মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও খোলা সয়াবিন তেল।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু এখনো ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। 

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম এখনো বেশি। এ কারণে খুচরা বাজারেও পণ্যটির দাম কমেনি। হিমাগার পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর তদারকি না থাকায় আলুর দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে পণ্যটির দাম কমেছে।

ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসায় এই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে আলুর দাম বাড়তি। চলতি মাসের শুরুতে খুচরায় প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। গতকাল ঢাকার তিনটি খুচরা বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আলুর পাশাপাশি বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়তি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।