কায়রোয় গির্জায় আগুনে ৪১ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ : 2022-08-14 21:07:49১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কায়রোয় গির্জায় আগুনে ৪১ জনের প্রাণহানি

মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি গির্জায় আগুন লেগে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। গির্জাটি কপটিক মতাবলম্বী খ্রিষ্টানদের। স্থানীয় সময় রোববার সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গির্জাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবু শিফিন নামের ওই গির্জার অবস্থান কায়রোর উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ইমাবায়। সেখানে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের বাস সবচেয়ে বেশি। গির্জায় আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

গির্জায় আগুন লাগার পরপরই প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসি তাঁর ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেন, ‘প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে আমি রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’ পরে দেশটির অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গির্জার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে কপটিক চার্চের অনুসারী সবচেয়ে বেশি। মিসরের ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষের অন্তত ১ কোটি এই মতাবলম্বী।

এএফপি বলছে, আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসর। উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানরা নানা হামলার শিকার হন। এ ছাড়া এই সম্প্রদায়ের মানুষ বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেন। মুসলমানদের নির্যাতনের শিকার হন তাঁরা। তাঁদের গির্জা, স্কুল ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিশেষত ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে সিসি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। 

মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিবছর কপটিক খ্রিষ্টানদের বড়দিনের জনসমাগমে অংশ নিতে দেখা যায় সিসিকে। সম্প্রতি তিনি দেশটির সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে একজন কপটিক খ্রিষ্টানকে নিয়োগ দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এর আগে এই পদে কোনো খ্রিষ্টানকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। 

এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মিসরে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের মার্চে কায়রোর উত্তরে এক শহরতলির একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর আগে ২০২০ সালে দুটি হাসপাতালে আগুন লেগে ১৪ জন করোনা রোগী প্রাণ হারান।