কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হলো ৫১ মরদেহ, আগুনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

প্রকাশ : 2021-07-09 14:48:43১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হলো ৫১ মরদেহ, আগুনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে মরদেহ বের করে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৮টি পোড়া মরদেহ বের করা হয়েছে এবং মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্গে।

এর আগে, তিনজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। আহত হন অন্তত ৫০ জন।  শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভেতরে মোট কতজনের মরদেহ রয়েছে এ ব্যাপারে দায়িত্বরত কেউ কোনো কথা বলেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, ইতোমধ্যে ৪৮টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভেতরে কতগুলো মরদেহ রয়েছে সে ব্যাপারে জানাবে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অপেক্ষারত স্বজনরা জানান, সারারাত অপেক্ষা করেছি এখনো করছি জীবিত না পেলেও যেন মরদেহ পাই। এখন অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।  

এদিকে, অনেকেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের অনেককেই স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকা মেডিক্যালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল ভোরের দিকে, সকালে আবারো বেড়ে যায় আগুন। আমরা কাজ করছি। লাশের সংখ্যা জানানো হবে পরে।

শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাত তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন।  

আব্দুল আল আরেফিন আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পুরোটাই পুড়ে গেছে কারখানার, আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক।