কারও কারও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হলো বিদেশে টাকা পাচার করা: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : 2021-06-16 20:36:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কারও কারও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হলো বিদেশে টাকা পাচার করা: অর্থমন্ত্রী

বিদেশে অর্থপাচার রোধে ১৪টি আইন আসছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কারও কারও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হলো টাকা পাচার করা। তাদেরকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেবো। বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন মন্ত্রী। বিদেশে টাকা পাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে নতুন আইন হচ্ছে। টাকা পাচাররোধে ১৪টি আইন আসছে। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে কেন টাকা পাচার হচ্ছে। সিস্টেম দিয়ে জানতে হবে এটা কেন হচ্ছে।

তার আগে জানতে হবে এটা কারা করছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা রোধ করার ব্যবস্থা করবো। মুস্তফা কামাল বলেন, এটা দু’টি কারণে হতে হবে। একটা কারণে হতে পারে দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা নেই। আমরা দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। তারা যদি দেশেই লাভবান হতে পারে, তবে টাকা পাচার কমবে। ‘আরও একটা কারণ হতে পারে এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই টাকা পাচার করা। তাদেরকেও আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেবো। আমরা দেখেছি, কীভাবে টাকা পাচার হয়। যারা টাকা পাচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। অনেকে জেলে আছে।’

রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি ঋণ দেই তবে সারাদেশের মানুষ তা জানতে পারবেন। তিনি বলেন, এর আগেও আমি সংসদে বলেছি, এখন ঋণ নিচ্ছি- বেশি দিন বাকি নেই আমরা ঋণ দেবো। আমরা যদি লাভবান হই, যদি বাড়তি কিছু পাই তাহলে মন্দ না। বিদেশে বা পার্শ্ববর্তী দেশে বাড়তি রিটার্নের আশায় ঋণ দিচ্ছি। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঋণ দিয়ে প্রতিবেশী দেশকে যদি সাহায্য করতে পারি, এটা খারাপ না। আমরা যে টাকা ঋণ হিসাবে দেবো তার থেকে ভালো রিটার্ন পাবো। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে তথ্য সংগ্রহ করবো। এরপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।