কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ি-বিশৃঙ্খলা; ৭ জনের প্রাণহানি
প্রকাশ : 2021-08-22 14:00:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার কারণে ৭ জন নিহত হয়েছেন। তালেবান দেশটির শাসনক্ষমতা গ্রহণের পর সাধারণ আফগানদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্কে দেশছাড়ার হিড়িকের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।
রোববার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। নিহতদের সবাই বেসামরিক সাধারণ আফগান নাগরিক। অবশ্য রোববার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলেও কবে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি।
ওই বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘দেশত্যাগে ইচ্ছুক মানুষদের ভিড়ের মধ্যে নিহত সাতজন সাধারণ আফগান নাগিরকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এখনও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে যতটা সম্ভব নিরাপদে সবাইকে বের করে আনার কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
এদিকে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আতঙ্কিত আফগানরা বিমানবন্দরে জড়ো হওয়ার পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগান নাগরিকরা জড়ো হওয়ার পর তাদেরকে সরাতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে তালেবান যোদ্ধারা। এতে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হয়ে ৭ জন নিহত হয়।
এদিকে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে একটি নিরাপত্তা সতর্কতাও জারি করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আইএসের আফগানিস্তান শাখা এই হামলা চালাতে পারে। আর তাই আফগান ভূখণ্ডে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদেরকে আপাতত কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে দেশটি।
শনিবার জারি করা ওই নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে মার্কিন নাগরিকদের দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এতে আরও বলা হয়েছে, কেবল যেসব ব্যক্তিকে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি ভ্রমণের জন্য অনুমোদন দেবেন, তারাই (কাবুল বিমানবন্দরে) যেতে পারবেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আফগান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং মার্কিন নাগরিকসহ আটকে পড়াদের সরিয়ে নিতে বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে।