কানাডাকে বিদায় করে টিকে রইল ক্রোয়েশিয়া

প্রকাশ : 2022-11-28 09:43:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কানাডাকে বিদায় করে টিকে রইল ক্রোয়েশিয়া

ক্রোয়েশিয়ার অহমেই আঘাতটা করেছিলেন আলফানসো ডেভিস। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপের দ্রুততম গোলটি করে এগিয়ে নিয়েছিলেন কানাডাকে। গোল খেয়ে থমকে গেলেও লুকা মদরিচের দলের গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। কানাডার এগিয়ে যাওয়াটাকেই যেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিল ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে দুটি গোল ফিরিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে জায়গা করে নেওয়া কানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে বিশ্বকাপ রানার্সআপরা।

খেলা শুরুর ৬৮ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় কানাডা। আগের ম্যাচে বেলজিয়ামের গোলপোস্টে ২২টি শট নিয়েও গোল পায়নি। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলটি আজ পেয়েই যায় কানাডা। আলফানসো ডেভিস ইতিহাসেই জায়গা করে নিলেন কানাডার। বিশ্বকাপে পঞ্চম ম্যাচ খেলে নিজেদের প্রথম গোল—ইতিহাস তো বটেই। কিন্তু গোল করাই শুধু নয়, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় কিছুরই স্বপ্ন দেখছিল তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর যেভাবে খেলছিল তারা স্বপ্ন তারা দেখতেই পারতেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে ক্রোয়েশিয়া।

 ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। ৩৭ মিনিটে পেরিসিচের পাস থেকে কানাডার গোলমুখ খোলেন ক্রামারিচ। এরপর আট মিনিটেরও কম সময়ের একটা ঝড়, কানাডাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়ে ২-১ করে ফেলতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ক্রোয়াটদের। ৪৪ মিনিটে মার্কো লিভায়া ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া ক্রোয়েশিয়া প্রথমার্ধের শেষভাগটি নিজেদের করে নিয়েছিল অসাধারণ দাপটেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কানাডার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ওসারিওর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ক্রোয়েশিয়াও গোল ব্যবধান বাড়াতে পারত। মদরিচের ক্রস থেকে ক্রামারিচের শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। তবে ক্রামারিচ নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই। কানাডিয়ান রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে সেই পেরিসিচের পাস থেকেই গোল পান ক্রামারিচ।

এর আগে অবশ্য কানাডার জে ডেভিডের দূরপাল্লার শট ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচ কোনোমতে আঙুল ছুঁয়ে পোস্টের ওপর দিয়ে পার করে দেন। ৩-১ গোল পিছিয়ে পড়ার পরও কানাডা আক্রমণ করেছে। কিন্তু ক্রোয়াট অভিজ্ঞতার সামনে বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

যোগ করা সময়ে স্কোর লাইন ৪-১ বানিয়ে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের সীমানা থেকে বাড়ানো বল ওরসিচ ধরে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর সামনে কেবল কানাডিয়ান গোলকিপার বোরজান। কিন্তু তিনি গোলে না মেরে তা পাশে বাড়িয়ে দেন লোভরো মায়েরের দিকে। মায়েরের তা গোলে ঠেলতে তেমন কষ্ট হয়নি।

প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তবে আজ কানাডার বিপক্ষে নিজেদের শক্তিটা দেখিয়েছে ক্রোয়াটরা। তাদের পরের ম্যাচ বেলজিয়ামের বিপক্ষে। তবে আজকের এই ম্যাচের পর বেলজিয়ানদের জন্য ক্রোয়েশিয়া যে অগ্নিপরীক্ষা হতে যাচ্ছে, সেটি বলাই যায়। ওই ম্যাচটি যে এখন নক আউট লড়াইই।