কাউনিয়ায় মানুষের চেয়ে পুশু খাদ্যের দাম বেশী, খামারীরা বিপাকে

প্রকাশ : 2022-06-14 20:04:55১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় মানুষের চেয়ে পুশু খাদ্যের দাম বেশী, খামারীরা বিপাকে

রংপুরের দুগ্ধ উৎপাদনে খ্যাত একটি উপজেলার নাম কাউনিয়া। সেই কাউনিয়ায় বর্তমানে মানুষের খাদ্যের চেয়ে পশু খাদ্যের দাম বেশী। ফলে পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে প্রান্তিক খামারীরা।

সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার খুরে দেখাগেছে চাল ও আটাকে ছড়িয়ে গেছে গো-খাদ্য ভুসির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ভুসির মূল্য ১০০ থেকে ১১০ টাকা বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ভুসি ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ চাল প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। বালিকা বিদ্যালয় মোড়ের ফিড ব্যবসায়ী সহিদার রহমান বলেন, ভুসিসহ সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। ব্র্যাণ্ড ভেদে প্রতি কেজি ভুসি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। 

চাল ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, প্রতিকেজি চিকন চাল প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। মীরবাগ বাজারের মুদী দোকানী জলিল ভুইয়া বলেন, বর্তমানে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতে গম রপ্তানি বন্ধ করার খবরে আটার দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে গো-খাদ্য ভুসির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ তার। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বেটুবাড়ি গ্রামের ভাই ভাই দুগ্ধ খামারের শফিকুল ইসলাম জানান, তার খামারে ৩৩টি গরু আছে, এর মধ্যে ২২টি গরু দুধ দেয়। প্রতিদিনি তার ২০০ লিটার দুধ হয়। বাজারের দুধের যে দাম সে অনুপাতে প্রায় ২লিটার দুধ বিক্রি করে ১কেজি ভুসি কিনতে হচ্ছে। ভুসির বস্তা গত ১মাসে প্রায় ১হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাল মানের ভুসি কিনতে হলে কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় কিনতে হয়।  গো-খাদ্যের যে হারে দাম বাড়ছে তাতে করে খামার ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। 

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিঙচিতা রহমান বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘাস চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ছোট ছোট খামারীদের খাস চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এছারাও বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। গো-খাদ্যের যে দাম সে অনুপাতে খামারীরা দুধের দাম পাচ্ছে না। সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি।