কাউনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বন্যার পদধ্বনি

প্রকাশ : 2022-06-13 19:24:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বন্যার পদধ্বনি

ভারী বর্ষণ ও উজানের নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ায় বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে ইতোমদ্যে ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। কাউনিয়ায় তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন চরা লের গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরা লের গ্রাম গুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এছারাও ভারি বর্ষনে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পরেছে। তিস্তা নদীর চরে রোপন কৃত বহু বাদাম ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। মাছের পুকুর গুলো পানি ছুই ছুই করছে, যে কোন সময় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যেতে পারে বলে আশংকা করছে মাছ চাষীরা। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী ভাঙ্গন বেড়ে গেছে। বসত ভিটা জমিজিরাত হারিয়ে অনেকে নিঃশ্ব হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ভারী বর্ষণে উপজেলার হরিশ্বর, হলদীবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। হরিশ্বর রেল কলনী এলাকার মঞ্জুর আলম জানান, মাছের খামারের নামে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করায় জলাবদ্ধতা সহ ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হলেও  জলাবদ্ধতা নিরশনে সরকারী কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধিদের কোন পদক্ষেপ নেই। কৃষক মোহাম্মদউল্লাহ মুনু জানায় ভারি বর্ষনে পানি চলাচলের রাস্তা না থাকায় তার প্রায় ১ একর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। হরিশ্বর গ্রামের রেল লাইনের পার্শে এই এলাকাটি দীর্ঘদিন যাবত পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও, চেয়ারম্যান মেম্বরকে কৃষি কর্মকর্তাগণ কে অনেক বার বলেও কোন সমাধান হয়নি। 

কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি। মৎস্যকর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম জানান, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি, এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষতির সংবাদ নেই। টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান এই ইউনিয়নের অধিকাংশ চর গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখাদিয়েছে। বিশেষ করে চর গনাই, হয়বতখাঁ, বিশ্বনাথ গ্রামের মানুষ আতংকে আছে, ইতো মধ্যে নদী ভাংতে শুরু করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীব সরকার জানান, পানি বৃদ্ধির বিষয় খোঁজ খবর রাখছি। বন্যার বিষয়ে আমাদের প্রস্ততি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির খবর পেয়েছি, ব্যানার বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। টানা বৃষ্টির ফলে রাস্তা ঘাটের বেহাল দশায়া সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগে পরেছে।