কাউনিয়ায় বৃষ্টির অভাবে আমন চার্ষীরা বিপাকে

প্রকাশ : 2021-08-09 17:04:23১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় বৃষ্টির অভাবে আমন চার্ষীরা বিপাকে

গ্রাম বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘শ্রাবণের ১৬ ও ভাদ্রর ১৩, এর মধ্যে যত পারো আমন চারা রোপণ করো’। কাউনিয়ায় বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পানি নেই। অনেক জমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা আমণ মৌসুমে আমনের চারা রোপণ করতে পারছেনা। শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির কারণে আমন ধানের চারা রোপণের মোক্ষম সময় হলেও এবার বৃষ্টির পানির অভাবে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। শ্রাবণের ২৫ তারিখ পার হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আকাশে মেঘ ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টি নেই। আর মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আরো ভাবসা গরম আর চাহিদার তুলনায় নগণ্য হওয়ায় জমি ফেটে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার। 

সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে, অর্থশালী কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে আমন ধান রোপণ শুরু করলেও প্রান্তিক চাষিরা পড়েছে বিপাকে। নিজপাড়া গ্রামের কৃষক সিদ্দিক জানান, শ্রাবন মাস আসলে পানিতে জমি থইথই করে কিন্তু এবার পানির অভাবে জমি ফেটে গেলেও এখন পর্যন্ত পানির দেখা পাই নাই। এভাবে যদি চলে তাহলে জমি পড়ে থাকবে, আবাদ করা যাবে না। সে জানায় চারা বীজ গাড়বো সেই পানিও দিতে হচ্ছে শ্যালো মেশিন দিয়ে। বৃষ্টির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কা শুধু সিদ্দিকের নয়, উপজেলার সকল কৃষকদের। 

কৃষক সেকান্দার আলী জানান, ২৫ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। চারাও বড় হয়েছে। পানির অভাবে রোপণ করতে পারছেন না। সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলে খরচ অনেক বেশি হয়। শ্রাবণ মাস প্রায় শেষের দিকে কিন্তু জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও বৃষ্টির অভাবে প্রচণ্ড রোদে পুড়ছে আবাদি জমি। 

মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা খরার কথা স্বীকার করে জানান, আমন রোপণের সময় চলছে। এ সময় বৃষ্টি দরকার। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, কাউনিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে ১১হাজার ৩শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তীব্র খরার কারণে জমিতে পানি না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। এখনই আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। পানি সংকটের কারনে আমরা সেচ দিয়ে আপাতত বীজচারা রোপন করার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।