কাউনিয়ায় নিজপাড়া গ্রামে বিক্রিত জমি নিয়ে সংঘর্ষে ১২ জন গুরুতর আহত

প্রকাশ : 2021-04-26 15:37:06১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় নিজপাড়া গ্রামে বিক্রিত জমি নিয়ে সংঘর্ষে ১২ জন গুরুতর আহত

কাউনিয়ার উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে বিক্রিত জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারী সহ ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানাগেছে উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও তার ভাই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কমরেড রফিকুল ইসলাম মৃত্যুর পূর্বে তার চিকিৎসা করার জন্য ১৮ শতক জমি (পুকুর) বিক্রি করে প্রতিবেশী মোঃ সৈয়দ আলীর বড় ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ এর কাছে। এরপর সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মারা গেলে উক্ত জমি (পুকুর)  হারুন অর রশিদ ভরাট করতে গেলে রুবেল ও বাবু গংরা বাধা প্রদান করে। সেখানে কথা কাটাকাটীর একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে জমিতে নামতে বারন করে এবং কাগজপত্র দেখে আলোচনা করে সমাধান করা হবে জানায়। এরই জের ধরে মোঃ হারুন অর রশিদ এর ভাই মোঃ মানিক সরকারকে সানাই মোড়ে একা পেয়ে বাবুগংরা এলোপাথারি দেশীয় অস্ত্রদিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করে এরপর তারা রশিদের বাড়িতে গিয়ে গালাগালি করতে থাকলে একপর্যায়ে তাদের সাথে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে হারুন অর রশিদ এর ভাই নুর ইসলাম (৪০), মতিয়ার রহমান মতিন (৩০), দুলাল মিয়া (৫০), ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪), শাহাদত হোসেন শান্ত (২২), তার পিতা সৈয়দ আলী (৭০), মাতা রাশিদা (৬০), মেয়ে সোমাইয়া (১৬) এবং অপর পক্ষের বাবু গং এর ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম রিন্টু (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩৭) আহত হয়। 

এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে কাউনিয়া মেডিকেলে ভর্তি করে।এরমধ্যে গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেলে প্রেরন করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ১৪ জন কে আসামী করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৫। 

কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ইতোমধ্যে একজন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।