কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারি বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রকাশ : 2024-07-09 17:45:43১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোসহ নিম্নাঞ্চল। তিস্তার পানি বাড়া কমায় নতুন করে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নদীর পানি ও বৃষ্টির পানিতে চর ঢুষমারা, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, প্রাননাথ চর, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, চর আজমখাঁর, চর নাজিরদহ গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এছারাও অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতায় পানি বন্দী হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। এছাড়াও আমন বীজ তলা, উঠতি বাদাম খেত, পাট খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। এভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরো নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়ার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল এলাকার বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ও টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান তাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রামের নি¤œঞ্চলে পানি উঠছে এবং নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া বন্যা ও পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার জানান ইতো মধ্যে বালাপাড়া ইউনিয়নে ৩.৫ মেঃটন ও শহীদবাগ ইউনিয়নে ১ মেঃটন চাউল ও হারাগাছ ইউনিয়নে ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ত্রাণ বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক বলেন ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা বন্যাদূর্গত এলাকার বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।