কাউনিয়ায় ঢিলেঢালা লকডাউন, প্রশাসন দেখলেই দোকান বন্ধ চলে গেলে চালু!
প্রকাশ : 2021-07-25 16:51:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকার ঘোষিত লক ডাউন কাউনিয়ায় ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে। বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলছে অটোরিকশা, চার্জার অটো সহ পিকাপ ভ্যান। স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই এ সমস্ত যানবাহনে। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। গাদাগাদি করে যাত্রীরা অটোরিকশা, চার্জার অটো ও পিকাপ ভ্যানে করে অবাধে সড়ক মহাসড়কে চলাচল করছে। অপরদিকে অধিকাংশ দোকানের একটি ঝাপ (দরজা) খোলা রেখে বাকী সব ঝাপ বন্ধ রেখে বেচা-কেনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে দোকান বন্ধ করে দোকানদাররা সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রশাসন চলে গেলে দোকানের ঝাপ খুলে আবার চলে বেচা-কেনা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। নিয়মিত বসছে পশুর হাট। টেপামধুপুর, মীরবাগ বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। খোলা স্থানে কাঁচা বাজার বসানোর নিদের্শনা থাকলেও কোন হাট-বাজারেই খোলা স্থানে বসানো হচ্ছেনা। ইজারাদার গণ প‚র্বের নিয়মেই হাটের ভিতর কাঁচা বাজারের দোকান বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রশাসন মাঝে মধ্যে ৫ টার দিকে হাট-বাজারে গিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়ে যায়ার পর আবার শুরু হয় দোকান যা চলে প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত। গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দোকান গুলো প্রায় সব সময়ই খোলা। ঈদের আগের লক ডাউন কিছুটা কড়াকড়ি পালন হলেও ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লক ডাউন পালন হচ্ছে একে বারে ঢিলেঢালা ভাবে। অনেক দোকানদার বলেছেন দোকান বন্ধ করে লাভ কি ? অটোযোগে যে হারে মানুষ যাতায়ত করছে তাতেই বরং করোনা ছড়ানোর ঝুকি বেশী।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান বলেন আমরা সরকারি নির্দেশে কঠোর ভাবে লক ডাউন কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন বলেন সাধারণ মানুষ কে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে মাইকিং করেছি, মাঝে মাঝে জরিমানা করছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়ে প্রয়োজনে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে। আইন অমান্য কারীদের ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানাও করা হচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে শুধু প্রশাসন দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়।