কাউনিয়ায় ছয় মাথা রাস্তার মোড়ে যানজট নিত্যদিনের
প্রকাশ : 2021-11-16 18:25:20১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র গালস্ স্কুল ছয় মাথা রাস্তার মোড়ে যানজট নিত্য দিনের হলেও তা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না। ফলে ঘটছে নিত্য দুর্ঘটনা আর পথচারীদের বিড়ম্বনা। এ স্থানে বিগত সময়ে শিক্ষার্থী সহ তিন জন নিহত ও শতাধিক পথচারী আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করলেও গালস্ স্কুল ছয় মাথা রাস্তার মোড়ে আজও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়নি। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে ওই স্থানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড় ছয় মাথা রাস্তায় গিয়ে দেখাগেছে, নিত্য যানজট ও দুর্ঘটনার বাস্তব চিত্র। এই ছয় মাথা রাস্তার মোড়ে নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা তার উপর ভাঙ্গা চুড়া রাস্তার বেহাল দশা। ব্যস্ততম এই মোড়ে প্রতিদিন উপজেলা সদর, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী অফিস, হাসপাতাল, ব্যাংক-বীমা ও হাট বাজার গুলোতে যাতায়ত করতে এই ছয় মাথা মোড়টি ব্যবহার করতে হয়। কাউনিয়া উপজেলার সবচেয়ে বেশী রাজস্ব আয়ের হাট টেপামধুপুর ও তকিপল হাট এবং খানসামা হাট যেতে এই মোড় ব্যবহার করতে হয়। এছারও পার্শবর্তী পীরগাছা উপজেলার অন্নদা নগর ও পাওটানা হাট যেতেও এই মোড় ব্যবহার করতে হয়। ফলে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই হাটে বিভিন্ন পন্য পরিবহনে ব্যবহারকারী বিভিন্ন গাড়ি, অটো, ভ্যান, রিক্সায় যানজট লেগেই থাকে। এই মোড়ে কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন চলাচলে নেই কোন শৃংখলা, যে যার মতো রাস্তা চলাচল করায় দুর্ঘটনা ঘটছে নিত্যদিন।
কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ ইকবাল হোসেন জানান, সকাল-বিকাল আমরা খুবই আতংকে থাকি, কারণ বিদ্যালয়ে আসা কোমল মতি শিশুদের এই মোড় পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়, তাই কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে।
কাউনিয়া কলেজের শিক্ষক আশরাফুল আরেফিন হিমেল জানান, এই মোড়ের যানযটের কারণে পথচারীদের অধিকাংশ সময় অপচয় হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা সময় মতো কলেজে আসতে পারে না। স্থানীয় বাসিন্দা মজনু মিয়া বলেন, অসুস্থ রোগী মেডিকেলে নিতে গেলেও এই মোড় পার হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ব্যবসায়ী রাম প্রসাদ জানান, ছয় মাথা মোড়ে যানজটের কারণে ভাল ব্যবসা হয় না। এছাড়াও শব্দ দুষনের ফলে গ্রাহকরা দোকানে বসতে চায় না। যানজট নিরশনে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটিতে বহুবার আলোচনা হয়েছে এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করার জন্য কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন বলেন, জেলা মিটিং এ বিষয়টি উপস্থাপন করবো যেন এখানে ট্রাফিকের ব্যবস্থা করা হয়। এলাকাবাসী দ্রুত এখানে একজন ট্রাফিক পুলিশ এর ব্যবস্থা গ্রহন সহ রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।