কাউনিয়ায় ঘাস নয় সবুজ সোনা
প্রকাশ : 2025-02-12 17:51:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
![কাউনিয়ায় ঘাস নয় সবুজ সোনা কাউনিয়ায় ঘাস নয় সবুজ সোনা](https://gramnagarbarta.com/storage/photos/1/thumbs/67ac8a8b3e395.jpg )
গো খাদ্যের সঙ্কট, কম খরচে বেশি লাভ ও গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুর বিভাগে বাণিজ্যিকভাবে পাকচং, নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুঁকছে কৃষক। ঘাস এখন সবুজ সোনায় পরিনত হয়েছে। অন্য দিকে ঘাস চাষ করে নিজের গবাদিপশুর খাদ্যচাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে বার্তি আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় ভ্যানে করে ফেরী করে ঘাস বিক্রি করে নিজের কর্মসংস্থান নিজেই সৃষ্টি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে উপজেলায় বিভিন্ন ঘাসের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ পাতার ঘাসের সমাহার। ঘাস চাষে ভাগ্য বদল ও কর্মসংস্থান হতে পারে এটা আগে কখনও ভাবাই যায় নি। প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্ভাবনি ও পরিকল্পনায় গরু খামারীদের কাছে ঘাস যেন এখন সবুজ সোনায় পরিনত হয়েছে। দামুরচাকলা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভ্যানে করে ঘাস বিক্রি করতে আসা মিনারুল ও তরিকুল জানান, দামুর চাকলা বাজারের পাশে এই পাকচং জাম্বু ঘাস চাষ হয়। সেখান থেকে আটি ৬টাকা করে কিনে ফেরী করে ১০টাকা বিক্রি করে তারা। এতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ আয় হয়। তার মতো অনেকেই এখন বেকার বসে না থেকে ঘাস বিক্রি করে সংসার চালায়। একই কথা জানালেন জগজিবন গ্রামের ঘাস বিক্রেতা মোফাজ্জল। ঘাস চাষি নুরনবী ও ইন্দ্রজিৎ ভুট্টু জানান, সার তেলসহ কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অন্যান্য ফসল চাষে উৎপাদন খরচই যেখানে উঠছে না, সেখানে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এবং নিজের খামারের গরুর খাদ্য চাহিদা মিটাতে এ ঘাস চাষ করছেন তারা। গো-খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে তারা ঘাস বিক্রি করে বার্তি আয়ও করছেন। তারা জানান ঘাস বিক্রিতে শতশত লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় দেড় মাস অন্তর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করা যায়। ঘাস ব্যবসায়ীরা জমিতে এসে কিনে নেন তাদের ঘাস। যেসব পতিত জমি সারা বছরই খালি পড়ে থাকে সেই সকল জমি সহ রাস্তার ধারে একটু সচেতন হলেই জমিগুলো কাজে লাগিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কাউনিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এআরএম আল মামুন জানান, উপজেলায় ৭৭৬টি গরুর খামারসহ ৮৫৬৯১টি গরু রয়েছে। উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩৩ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। গো-খাদ্যের চাহিদা প্রায় ৩৪৩টন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৪৩ টন। দুধের উৎপাদন বাড়াতে দিন দিন নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাসচাষিদের উদ্বুদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের মাঝে পাকচং জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আগ্রহী খামারি ও কৃষকদের ঘাস চাষে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। উপজেলায় প্রায় ২০হেক্টর জমিতে ঘাস চাষাবাদ হয়েছে। নেপিয়ার ঘাস পরিত্যক্ত জায়গায় ভালো জন্মে। চাষ পদ্ধতি ও গুণাগুণ সম্পর্কে কৃষক অবগত হলে ঘাসের চাষে তারা আরোও উৎসাহিত হবেন। ঘাস চাষ চাষ কর্মসংস্থানের নতৃন দিগন্তের সূচনা করেছে।