কাউনিয়ায় খলিলের ঘাটে পাকা সেতু কবে হবে ?
প্রকাশ : 2022-09-19 15:41:06১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কাউনিয়ায় স্বাধীনতার ৫১ বছরেও খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মান হয় নি। পাকা সেতু নির্মানে মন্ত্রী, চেয়ারম্যানদের শুধুই শুধুই আশ্বসের বাণী দিয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলার প্রাননাথ চর গ্রামে খলিলের ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর উপর স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ৮ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করছে। বাঁশের সাঁকোই তাদের যাতায়তের একমাত্র ভরসা। ভোটের আগে চেয়ারম্যান, এমপি পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও নির্মাণ হয়নি সেতুটি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলছে যাতায়াত। বাণিজ্য মন্ত্রীর এলাকা খলিলের ঘাটে স্বাধীনতার ৫১ বছরেও পাকা সেতু নির্মান হয় নি।
আশ্বাসের বানী নিরবে কাঁদে। শষ্য ভান্ডার নামে খ্যাত এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহনে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। পাকা সেতু না থাকায় ফসলের ন্যায মূল্যে থেকে বি ত হচ্ছে তারা। চীনের দুঃখ হোয়াং হো আর এ চরা লের ৮ গ্রামের মানুষের দুঃখ হচ্ছে মরা তিস্তার শাখা নদীটির বাঁশের সাঁকো। হারাগাছ ইউনিয়ন ও শহীদবাগ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে তিস্তা সতী নদীটি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই এলাকাবাসীর ভরসা, আর শুকনা মৌসুমে নদীর বুক চিরে পায়ে হেটে চলাচল করে এলাকার মানুষ। হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে খলিলের ঘাট নামক স্থানে পাকা ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর। ওই স্থানে ব্রীজ না থাকায় চড় নাজিরদহ, পল্লীমারী, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, চাংরা, পাগলার হাট, দয়াল বাজার, বুদ্ধির বাজার, মাষ্টার বাজার, প্রাননাথ চড় ও সাব্দী গ্রামের স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী সহ প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়ত করে। ওই এলাকা গুলো শষ্য ভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত। এ গ্রাম গুলোতে ব্যাপক হারে আলু, ভুট্রা, ধান, পাট, রসুন, মরিচ, পিঁয়াজ, বাদাম, খিরা, শষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব কৃষি পণ্য হাট বাজারে নিতে হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তকিপল হাট, ৭ কিলোমিটার ঘুরে খানসামা হাট ও ১২ কিলোমিটার ঘুরে মীরবাগ হাটে যেতে হয়। অথচ খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে। সেই সাথে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যে। ওই এলাকার মানুষ নৌকায় পারাপারে দূর্ভোগ কমাতে গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ উত্তোলন করে একটি বাশেঁর সাকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে। সে সাঁকোটির এখন নরবড়ে অবস্থা।
চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মঈনুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন জানায়, এখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করা হবে এ কথা বহুদিন ধরে শুনে আসছি, কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের কোন আলামত দৃর্শ্যমান নয়। এ ছাড়াও হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউপির সীমান্তে ব্রীজ নির্মাণের স্থানটি হওয়ায় দুই চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে সেতু নির্মাণের উদ্দ্যোগ বারবার ভেস্তে যাচ্ছে।
হারাগাছ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পলাশ বলেন শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হান্নান সাহেবের সাথে সমন্বয় করে ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামন জেমি জানান, খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মানের প্রস্তাবনা বেশ কয়েকবার পাঠান হয়েছে। ইতোমধ্য সয়েল টেষ্টও হয়েছিল। আবারও বাণিজ্যমন্ত্রী মহদয়ের সুপারিশ নিয়ে প্রস্তবনা পাঠান হয়েছে। আশা করছি বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান, বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে আশা করছি এবছরই খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মানের কাজ হবে।