কাউনিয়ায় কোরবানীর পশুর হাটে সক্রিয় দালাল চক্র

প্রকাশ : 2024-06-09 18:26:31১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়ায় কোরবানীর পশুর হাটে সক্রিয় দালাল চক্র

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কাউনিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির সকল পশুরহাট। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাট গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় তত বাড়ছে। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী হলেও দালাল চক্র সক্রিয়।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কোরবানীর পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, দালাল ছাড়া পশু ক্রয় বিক্রয় হয় না। হাটে চেনাই মুসকিল কে দালাল আর কে বিক্রেতা। বিশেষ করে টেপামধুপুর হাটের অব্যবস্থাপনা ও দালালের উপদ্রপ বেশী। এছাড়াও সরকারের নিয়ম না মেনে পশুরহাটে অতিরিক্ত ঢোল আদায়ের অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা। চলতি বছর পশুর দাম তুলনামূলক একটু বেশী। ফলে এ বছর মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। হাটে দেশি ও উন্নত জাতের গরুতে বাজার ভরপুর। হাটে বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৮০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা কোরবানি সাত ভাগে বা একক ক্রেতাসহ জেলার বাইরে থেকে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম থেকেও বেশ কিছু পাইকার এসেছেন পশু ক্রয় করতে। প্রখর রোদ ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কোরবানির হাট। জানাগেছে প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারী ও কৃষকরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। এ বছরও দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। 

একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গো-খাদ্যর দাম অনেক বেশী হওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। ভারতীয় গরু কম আসায় লাভবান হবেন বলে আশা তাদের। কাউনিয়ায় শুক্রবার খানসামা হাট ও শনিবার টেপামধুপুর বড় আকারে বসে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুমী বেগম বলেন, উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ১৬ হাজার ৯শত ১টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২৫ হাজার ৪২৯টি। এর মধ্য ষাঁড় ৬৫০১, বলদ ১৯৮৬, গাভী ২০৪১, মহিষ ১০৬, ছাগল ১৩হাজার ৯৪৫, ভেরা ৮৪২ এবং অন্যান্য ৮টি। চাহিদার চেয়ে ৮৫২৮টি পশু বেশী রয়েছে। কুরবানীর পশুর ৬টি হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। মেডিকেল টিম অসুস্থ পশু চিহ্নিত, বাজারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া পশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা, গর্ভ পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণসহ গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন। আশা করছি খামারীরা তাদের পশুর ভাল দাম পাবেন। এলাকাবাসী হাট দালাল মুক্ত ও অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। 

 

সান