কাউনিয়ায় কাঁচা মরিচের ঝালে পুড়ছে ক্রেতার মুখ, সবজিতেও স্বস্তি নেই
প্রকাশ : 2025-10-07 17:32:10১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত কয়েকমাস ধরে সবজিসহ নিত্যপন্যের বাজারে স্বস্তি নেই। রংপুরের কাউনিয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জিনিসের মূল্য। সবজিসহ চাল, ডাল, তেলের বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে। আলু ছারা সবপন্যেই দরিদ্র মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলেগেছে। কাঁচা মরিচের ঝালে যেন পুড়ছে ক্রেতার মুখ। আশি টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। লাগামহীন দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৫০টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির বাজারে আগুন। সবজির এমন চড়া দামে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেকেই বাজারে এসে চাহিদামতো মতো সবজি কিনতে পারছেন না। সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতার পাশাপাশি বিক্রেতারাও বিপাকে পড়েছেন। তারা বলছেন, বাড়তি দামের ফলে তাদের বিক্রি কমে গেছে। ক্রেতারা আগের মতো সবজি কিনছেন না। বেশিরভাগ ক্রেতা আধা কেজি করে সবজি কিনছেন। এ ছাড়া ক্রেতারা সংখ্যাও আগের তুলনায় কমে গেছে। ক্রেতরা বলছেন, দু-একটি সবজি ছাড়া ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। বেশ কয়েকমাস ধরে সবজির বাজার ঊর্ধ্বগতির হলেও বাজার মনিটরিংয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেই। চালের বাজেরও নেই স্বস্তি। বেগুন, পটলর, করোলা, টমেটো, বরবটি, ঢেরোস, কাঁকরোল, দুদকুষি, চালকুমড়া, পেপে, কাঁচকলা, কচুরলতি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শসা, গাজর, লেবু, পেঁয়াজ, রসুন. আদা, ডিম, মুরগি, মাছ, মাংস সব কিছুরই মূল্য নি¤œ আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খাসির মাংস, গরুর মাংস ও ইলিশ মাছ এখন শুধুই ধনী মানুষদের খাবারে পরিনত হয়েছে। সানাই মোড় বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল জানান, আড়তে প্রতিটি সবজির দাম বেশী। বৃষ্টির অজুহাতে এমন কোন সবজি নেই যেটাতে ১০ থেকে ৩০টাকা বাগে নি। বেশী দামে কিনে এন বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার করতে আসা নিজপাড়া গ্রামের সমর আলী জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাবো কী? চাল, ডাল, তেল, সবজি কেনটিরই দাম কমে না। বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু না হলেই নয় তাও কিনতে পাচ্ছি না। তকিপল হাটে বাজার করতে আসা নুর আমিন জানান, আমাদের মধ্যেবৃত্ত পরিবারের অবস্থা বেসামাল, বাজারে আসলে মাথায় আগুন ধরে যায়। যে বতেন পাই তাদিয়ে বর্তমান বাজারে ১৫দিনও চলে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রয়োজন। তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে পণ্য ও জিনিসের দাম খামখেয়ালিপনা করে বৃদ্ধি করে তাদের মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা উচিত। তাহলে হয়তো দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
টেপামধুপুর হাটের ব্যবসায়ী আঃ রহিম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কাঁচা মরিচে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমবে। এলাকাবাসী সরকারের কাছে বাজার নিয়ন্ত্রনকারী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।