কাউনিয়ায় আলুর ভালো ফলনের আশা কৃষকের
প্রকাশ : 2022-01-27 19:03:55১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বৈরি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে কাউনিয়া উপজেলার কৃষকরা আলুর ভালো ফলনে আশাবাদী। তাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আলু ¶েত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত চাষীরা তাদের আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, কীটনাশক, ছত্রাক নাশক স্প্রে, কান্দি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক পরিচর্যায় লকলকিয়ে উঠছে ক্ষেতে আলুর ডগা।
চাঁনঘাট গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন আলু রোপণের শুরুতেই পটাশ সারের ব্যাপক ঘাটতি থাকায় চাষীদের বহু ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পটাশ সারের সরকারী মূল্য ৭৫০ টাকা হলেও চাষীদের দোকান থেকে ১১৫০ থেকে ১৩৫০ টাকা দরে ক্রয় করতে হয়েছে। পরে কৃষি বিভাগ একটি পটাশ সারের বস্তা নিতে চাইলে তার সাথে দুটি ড্যাপ সারের বস্তা নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। তবুও কৃষক আলুর ভালো ফলনের আশায় প্রয়োজন না থাকলেও বাধ্য হয়েই একত্রে দুই বস্তা ড্যাপ সার সহ ১বস্তা পটাশ সার নিতে । এতে আলুর ভালো ফলনে হোঁচট খায় চাষীরা।
সোনাতন গ্রামের চাষী হারিস মিয়া বলেন, গত বছর আগাম আলুর ভালো দাম পেয়ে এবারো আগাম জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, গ্রান্যুলা, রোমানা, বগুড়াই আলু চাষাবাদ করেছি কিন্তু এবার আগাম জাতের আলুর ভালো বাজার পায়নি। তাই আমরা চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এখন অপেক্ষা করছি দেরীতে আসা আলুর বাজার যেন ভালো পাই। বর্তমানে প্রতি বস্তা কার্ডিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬'শ টাকা দরে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪৯৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও চাষ হয়েছে ৪৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশী আলু রয়েছে ৮০ হেক্টর। করোনা কালে চাষীরা ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানাজ পারভীন জানান আলুর ফলন বৃদ্ধি ও রোগ ব্যাধি থেকে ক্ষেত রক্ষায় নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ উপজেলায় আলুর ব্যাপক ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।