করোনা মহামারি বিশ্বে ১০ কোটি কর্মজীবী মানুষকে দারিদ্র্যে নিপতিত করেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ : 2021-06-03 12:22:41১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

করোনা মহামারি বিশ্বে ১০ কোটি কর্মজীবী মানুষকে দারিদ্র্যে নিপতিত করেছে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘ বলেছে, করোনা মহামারি বিশ্বে কমপক্ষে ১০ কোটি কর্মজীবী মানুষকে দারিদ্র্যে নিপতিত করেছে। তাদের কর্মঘণ্টা কমে গেছে। ভাল মানসম্পন্ন কাজ মার্কেট থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। 

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) আরো সতর্কতা দিয়েছে যে, শ্রম বাজারে সৃষ্ট এই অবস্থা সহসাই কেটে যাবে না। ২০২৩ সালের আগে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো অবস্থায় তা ফিরে যাবে না। 

আইএলও’র বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক’-এ এই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। যদি এই মহামারি কেটে না যায় তাহলে পৃথিবীতে এ বছরের শেষ নাগাদ ৭ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান থাকবে না।

আগামী বছরের শেষ নাগাদ ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের কাজ থাকবে না। 

আইএলও’র প্রধান গাই রাইডার সাংবাদিকদের বলেছেন, কোভিড-১৯ শুধু জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সঙ্কটই নয়। একই সঙ্গে এটা কর্মসংস্থান এবং মানবিক সঙ্কটও। কর্মসংস্থানের উদ্যোগ বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত, সমাজের সবচেয়ে বিপন্ন মানুষগুলোকে সমর্থন না করা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক খাতের পুনরুদ্ধার কঠিন হবে। করোনা মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের ওপর অনেক বছর থেকে যাবে। তাতে মানব সন্তান হারানো থেকে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। এতে দারিদ্র্য ও অসমতা বৃদ্ধি পাবে।

জাতিসংঘের ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২০ কোটি ৫০ লাখ। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে যে পরিমাণ মানুষ কর্মহীনতায় ভুগবে বলে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি দেখে বলা যায় সেই সংখ্যা আরো বেশি। পরিস্থিতি আরো খারাপ। বহু মানুষ অন্য কাজে ঝুঁকছেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কর্মঘন্টা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। 

২০২০ সালে বিশ্বে শতকরা ৮.৮ ভাগ কর্মঘন্টা হারিয়েছেন কর্মজীবীরা। তবে পরিস্থিতির যখন উন্নতি ঘটছে তখন বিশ্বের কর্মঘন্টা আগের অবস্থায় ফিরে আসা এখনও অনেক বাকি। এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ ফুল টাইম কর্মসংস্থানে যাওয়া থেকে অনেক দূরে থাকবে।

বিশ্বে কর্মসংস্থান এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অতি দ্রুততার সঙ্গে মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, সার্বিকভাবে করোনা মহামারির পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে না। কিন্তু আইএলও এক্ষেত্রে সতর্কতা দিয়েছে। 

তারা বলেছে, এই পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উচ্চ মাত্রায় অসম্ভব। এর কারণ, সমতার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ এর টিকা পাচ্ছে না সবাই। এখন পর্যন্ত সমস্ত টিকার শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি গিয়েছে শুধু ১০টি দেশের কাছে। সূত্র: এএফপি