করোনায় আরও ২০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬.৫০ শতাংশ
প্রকাশ : 2022-02-12 18:27:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯১ জনের।
একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ চার হাজার ৮২৬ জনে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮২১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭১টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৯০৪টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৪৪৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪টি।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও আটজন নারী রয়েছেন। মৃত ২০ জনের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, খুলনা বিভাগের দুজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন। মৃত ২০ জনের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে ও আটজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৬১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৭৯৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ২৭৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৪১৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬০ হাজার ৮৫৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।