কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক ও সবার ব্যবহারযোগ্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট চালু
প্রকাশ : 2021-12-28 19:32:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষসহ সকল যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক ও সবার ব্যবহারযোগ্য এমন একটি গণশৌচাগার আজ চালু করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গণশৌচাগারটি উদ্বোধন করেন।
নতুন নির্মিত এ শৌচাগারটিতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, লকার, হ্যান্ডওয়াশিং পয়েন্টস, শাওয়ার, নিরাপদ পানির সুবিধা, ২৪/৭ বিদ্যুৎ সুবিধা, বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা, পেশাদার ক্লিনার ও নারী কেয়ারটেকারের সুবিধা রাখা হয়েছে।
গণশৌচাগারটি পরিবেশবান্ধব করতে, শৌচাগারটিতে সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেমের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। পানির উৎসের টেকসই বিকল্প হিসেবে শৌচাগারটিতে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম ( আরএইচএস) স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও, সহজে ও নিরাপদে শিশুদের বুকের দুধ পান করানো মায়েদের জন্য শৌচাগারটিতে রয়েছে ব্রেস্টফিডিং চেম্বার।
ব্যবহারবান্ধব এ গণশৌচাগারটি ওয়াটারএইড ও বাংলাদেশ রেলওয়ের যৌথ প্রয়াসে তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব জোন) মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির হেড অব করপোরেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন সুজান মুলার ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার।
এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি বলেন, আমাদের পরবর্তী টার্গেট পঞ্চগড় ও ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে একই মানের আরোও ২টি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা যা আগামী বছর উদ্বোধন হবে বলে আশা করছি। আমাদের এই কাজে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে যার জন্য ওয়াটারএইড বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ নিয়ে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, “সারা দেশে উচ্চমান সম্পন্ন হাইজিন সুবিধাসহ আরো উদ্ভাবনী ও বহুবিধ ব্যবহার উপযোগী গণশৌচাগার তৈরির জন্য ওয়াটারএইড বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। যাত্রী সাধারণ, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্যসম্মত গণশৌচাগারের অভাব ঘোচাতে কমলাপুরের নব নির্মিত এ গণশৌচাগারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।”
চলতি বছরের শুরুতে ওয়াটারএইড ও বাংলাদেশ রেলওয়ে গণশৌচাগার তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে, আগস্ট মাসে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। রেলে চলাচলকারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ওয়াটার, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সুবিধার উন্নয়নে বিভিন্ন কারিগরি সুবিধা প্রদান করাই ওয়াটারএইডের মূল লক্ষ্য। সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক গণশৌচাগার সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ৪২টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও এর রক্ষণাবেক্ষণ করছে ওয়াটারএইড।