‘কভিড হিরো’ পুরস্কার পেলেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ-ডা. মনিলাল আইচ লিটু
প্রকাশ : 2021-09-07 11:57:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনন্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে 'কোভিড হিরো' পুরস্কার পেলেন দুই চিকিৎসক। তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এই পুরস্কার তুলে দেয়।
অনুষ্ঠানে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের পক্ষে পুরস্কার হস্তান্তর করেন সংগঠনের রিজিওনাল পাবলিক ইমেজ কো-অর্ডিনেটর এস এম শওকত হোসাইন, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ এর গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও বিদায়ী ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এমডি রুবায়েত হোসেন।
করোনা শুরুর প্রাক্কালে এই ভাইরাস নিয়ে গঠনমূলক ও সতর্কতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেন ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। গণমাধ্যমে ভাইরাসের লক্ষণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধ বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। সরকারি সভা-সেমিনার ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজন করেন কোভিড বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে গঠিত বিভিন্ন টাস্কফোর্সে কাজ করেন ডা. আবদুল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দেড় বছর ধরে করোনার সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে যখন চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখন থেকেই এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছি। প্রতিনিয়ত শিখেই যাচ্ছি। আর সেই জ্ঞানের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি সেইসব চিকিৎসকদের, যারা করোনায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা এখনও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’
অন্যদিকে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইএনটি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০২০ সালের এপ্রিলে কোভিড ডেডিকেটেড ডক্টরস ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু। এ সময় ডাক্তারদের নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিতে কাজ করেছেন তিনি।
এ সম্পর্কে ডা. মণিলাল আইচ লিটু বলেন, ‘সবাই মিলে যখন আমাকে ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত করেন, তখন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্সদের সক্রিয় রাখতে। এই পুরস্কার তাদেরই প্রাপ্য, আমার নয়।’
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল সূত্র জানায়, করোনা প্রতিরোধে সামনে থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, জনসচেতনতা সৃষ্টি, অনলাইনে চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।