কচুয়ায় সুপারি চুরির হিড়িক
প্রকাশ : 2021-11-04 19:29:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাটের কচুয়ার আন্ধারমানিক এলাকায় সুপারি চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই কোন না কোন বাগানের কাঁচা-পাকা সব ধরণের সুপারি নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুপারি বাগান মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় শওকত ব্যাপারীর মৎস্য ঘেরের বাসা থেকে ১০ বস্তা ও তার বসতবাড়ি থেকে ৯ বস্তা সুপারি উদ্ধার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। এঘটনায় কচুয়া থানায় মামলাও হয়েছে।
মৎস্য ঘেরের বাসায় পাওয়া সুপারির মালিক আন্দারসানিক গ্রামের মোঃ ইলিয়াস ব্যাপারী জানান, এলাকায় গেল একমাস ধরে বিভিন্ন লোকের সুপারি চুরি যাচ্ছে। মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) রাতে আমার বাগানের সুপারি চুরি হয়। এরপর থেকে আমি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খুজতে থাকি। এক পর্যায়ে শওকত ব্যাপারীর ঘেরের বাসায় সুপারির সন্ধান পাই। পরে কচুয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঘেরের বাসা থেকে ১০ বস্তা সুপারি এবং তার বাড়ি থেকে ৯ বস্তা সুপারি উদ্ধার করে।
শুধিু ইলিয়াস ব্যাপারির সুপারি নয়, গেল এক মাসে ওই গ্রামের অন্তত ৫০ জনের সুপারি চুরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, একের পর এক বিভিন্ন লোকের সুপারি চুরি হচ্ছে। কোনভাবেই সুপারি চুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। যে বাগানে ঢোকে সেই বাগানের কাচা পাকা সব সুপারি নিয়ে যায় চোরেরা।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর, এখনকার সুপারি বিক্রির অর্থ আগামী মৌসুমে ধান চাষ করার প্রধান উৎস। সুপারি চুরির যাওয়ায় আগামী মৌসুমে ধানের ফলনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুপারি চুরি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত শওকত ব্যাপারীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ফোন করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, তাদের ঘেরের বাসায় কে বা কারা সুপারি রেখেছে তারা জানেন না। ঘর থেকে পাওয়া সুপারি তাদের নিজেদের বাগানের বলে দাবি করেন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।