ওরা কি আদতেই ভাসানীর অনুসারী
প্রকাশ : 2021-06-13 09:20:25১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতির ভ‚মিতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক মহীরুহ সন্দেহ নেই। যুবক বয়সে জমিদারের অত্যাচার-অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন মজলুম জনগণের পক্ষে কথা বলা, লিপ্ত হয়েছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামে। সে সংগ্রাম অব্যাহত ছিল আমৃত্যু। তাঁর কণ্ঠে ছিল শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দৃপ্ত উচ্চারণ। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না. ছিলেন নেতা তৈরির কারিগরও। তাঁর স্নেহছায়ায় বেড়ে উঠেছেন এদেশের অনেক প্রথিতযশা রাজনৈতিক নেতা। কেউ কেউ পরবর্তীতে অধিষ্ঠিত হয়েছেন রাজনীতি ও রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। মওলানা ভাসানী তাঁকে পূত্রবৎ স্নেহ করতেন, বঙ্গবন্ধুও তাঁকে পিতৃজ্ঞানে সম্মান-শ্রদ্ধা করতেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য তাঁদের এ সম্পর্কে কখনো ফাঁটল ধরাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও এদেশের অনেক রাজনীতিক মওলানা ভাসানীর শিষ্যত্ব বরণ করে ধন্য হয়েছেন। এজন্যই অনেক ইতিহাসবিদ মওলানা ভাসানীকে ‘নেতাদের নেতা’ অভিধায় অভিহিত করেছেন।
মজলুম জননেতা পরলোকগত হয়েছেন আজ থোকে পয়তাল্লিশ বছর আগে, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর। পয়তাল্লিশ বছর পরেও তাঁর নাম শ্রদ্ধার সাথেই উচ্চারিত হয়। এখনও অনেক রাজনীতিক রয়েছেন যারা নিজেদেরকে মওলানার শিষ্য হিসেবে পরিচয় দেন। তারা মওলানার সান্নিধ্যে আসার কথা অত্যন্ত গর্ব সহকারে স্মরণ করে থাকেন। তারা সবাই হয়তো শেষ পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন নি। তবে নিজেদেরকে তারা হুজুরের আদর্শের অনুসারী বলেই প্রচার করে থাকেন। অবশ্য সে আদর্শ তারা কর্মে-মননে কতটুকু ধারণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অন্তত তাদের কারো কারো কর্মকান্ড এ প্রশ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।
মওলানা ভাসানী এদেশে দুটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একটি আওয়ামী লীগ, অন্যটি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সংক্ষেপে ন্যাপ। আওয়ামী লীগ এখন এদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং দীর্ঘ তিন মেয়াদে টানা ক্ষমতাসীন। ন্যাপের এখন আর তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই। এর বড় অংশটি ১৯৭৮ সালে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে একীভ‚ত হয়েছে। অন্যরাও একেক সময় হয় অন্য দলের মধ্যে বিলীন হয়েছে, না হয় পৃথক অস্তিত্ব বজায় রেখে বৃহৎ কোনো রাজনৈতিক দলের পার্টনার হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার আস্বাদ লাভ করেছে। অবশ্য এখনও কয়েক টুকরো ভাসানী ন্যাপের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। তবে তা খবরের কাগজের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এদের কোনো প্রভাব নেই। মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা কেন তাঁর রাজনৈতিক আদর্শে স্থির থাকতে পারেন নি, সেটা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে, সাধারণ জ্ঞানে এটা বলা যায় যে, ক্ষমতার রাজনীতির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার কারণেই তারা মওলানার আদর্শের পথকে পরিহার করেছেন। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম মওলানা ভাসানী আমৃত্যু করে গেছেন, তার মৃত্যুর পর অনুসারীদের সে রাজনীতি আর তেমনভাবে আকর্ষণ করেনি । রাষ্ট্রক্ষমতার হাতছানি তাদেরকে নেতার মূল আদর্শ থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পরে তাঁর স্মৃতি ধরে রাখা এবং তাঁর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ভাসানী-মশিয়ুর স্মতি পরিষদ উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছর মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সন্তোষে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আলোচনা সভার মধ্যেই এসব সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। এর বাইরে মওলানা ভাসানীর আদর্শ বা রাজনৈতিক দর্শন প্রচার বা নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে তুলে ধরার কোনো উদ্যোগ-আয়োজন লক্ষ্য করা যায় না। ৮০, নয়া পল্টনস্থ যে ভবনটিতে ন্যাপের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল, সেটাকে ‘ভাসানী ভবন’ নাম দিয়ে বিএনপির মহানগর অফিস, ভাসানী অডিটোরিয়াম করা হয়েছে। রয়েছে ভাসানী স্মৃতি সংসদের অফিসও। তাঁর অনেক শিষ্যই পরবর্তী জীবনে লব্ধ প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিক হয়েছেন, বনে গেছেন ধনাঢ্য ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর প্রতিষ্ঠিত একসময়ের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘হক-কথা’কে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ কেউ নেয় নি। তবে, তাঁর নাম ব্যবহার করে অনেককেই রাজনৈতিক ও অন্যান্য সুবিধা লুটতে দেখা গেছে।
বড় বড় নেতাদের নামের অপব্যবহার করে এক শ্রেণির নৈতিকতাহীন মানুষের ফায়দা লুটার চেষ্টা আমাদের দেশে নতুন নয়। এর সর্বশেষ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে গত ৪ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায়। ওইদিন ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন সেখানে একটি বিতর্কিত মৃত্যুর প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করেছিল। গত ৬ জুন ওই ঘটনার যে বিবরণ বাংলাদেশের খবরসহ কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ওই সংগঠনটির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের খবরে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনিয়া হত্যার বিচার চাই’ শিরোনামে ওই সমাবেশের আহবান জানানো হয়েছিল। এজন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছিল, তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য পরিচয় দানকারী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু যিনি মূলত বিএনপির একজন কর্মী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন পরিষদের চেয়ারম্যান গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। উপস্থিত থাকবেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক মহাসচিব ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমš^য়কারী জুনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর প্রমুখ। তবে, সমাবেশের দিন এদের কেউই সেখানে উপস্থিত হননি। তবে, সেখানে কিছু সংখ্যক লোককে জড়ো করা হয়েছিল। একই দিনে সমকালের খবরে বলা হয়েছে, ওই সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন, সংগঠনটির মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমদসহ কয়েকজন। খবরে বলা হয়েছে, সমাবেশটি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি। টাকার ‘ভাগাভাগি’ নিয়ে সৃষ্ট গণ্ডগোলে তা পণ্ড হয়ে য্য়া। মহাসচিব নামধারী ব্যক্তিটি ‘পল্টন মোড়ে গিয়ে টাকা দেওয়া হবে’ বলে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কেটে পড়েন। সমাবেশে আগতরা সাংবাদিকদের জানিয়েছে, সমাবেশে উপস্থিত হলে তাদেরকে নগদ টাকা, গরুর গোশত এবং ত্রানসামগ্রী দেওয়া হবে উদ্যোক্তারা প্রলুব্ধ করেছিল। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় এ ধরনের রাজনৈতিক সার্কাস হরহামেশাই হয়ে থাকে। ‘হাতা আছে মাথা নাই, পেট আছে আতুরি (নাড়িভ‚ড়ি) নাই’ ধরনের হরেক নামের হরেক কিসিমের সংগঠনের সমাবেশ-মানবন্ধন লেগেই থাকে। কিছু মানুষকে তাতে অংশ নিতেও দেখা যায়। আবার ওই নামগোত্রহীন সংগঠনগুলোর সমাবেশ-মানববন্ধনে বক্তৃতা দেওয়ার লোকেরও অভাব হয় না। বেকার কিংবা অর্ধবেকার রাজনৈতিক কর্মীরা তাতে গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করে, পত্রিকার পাতায় যদি নামটা ওঠে এই আশায়। তা যার যেভাবে খুশি করুক তা নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। যেহেতু আমাদের সংবিধান নাগরিকদের সংগঠন এবং সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা দিয়েছে, তাই যে যার পছন্দমতো সংগঠনে সম্পৃক্ত হওয়ার বা সভা-মিছিলে যোগ দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। কিন্তু আলোচ্য ঘটনায় কথা উঠেছে চারটি কারণে। প্রথমত, সংগঠনটির সাথে এমন একজন মহান নেতার নামে যুক্ত, যিনি আজীবন সবরকম অন্যায়, অবিচার ও অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। দ্বিতীয়ত, এমন একটি বিষয়কে উপজীব্য করা হয়েছিল, যা নিয়ে বিতর্ক আছে এবং তা এখন পুলিশের তদন্তাধীন। তৃতীয়ত, সমাবেশটিতে এমন কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল, যারা দেশের জাতীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং সম্মানীয়ও বটে। চতুর্থত, যে ঘটনাকে পুজি করে ওরা সমাবেশ ডেকেছিল, তা ভাসানী অনুসারীদের নীতি-আদর্শের মধ্যে পড়ে কীনা।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্পষ্টবাদী ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। বিশিষ্টজন হিসেবে সমাজে তিনি সমাদৃতও। তিনি যখন কোনো একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান হন, সঙ্গত কারণেই জনমনে সে সংগঠন সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা জন্মায়। তো ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান যেহেতু ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তাই ধরেই নিতে হয় যে, সমাবেশের ওই কর্মসূচি তার সম্মতিক্রমেই দেওয়া হয়েছিল। যদি তা-ই হয়, তাহলে নিজ সংগঠনের কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত হননি কেন? তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে, তার অজ্ঞাতসারেই সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল? এমনটি হয়ে থাকলে সংগঠনটির কথিত মহাসচিব ও প্রেসবিজ্ঞপ্তি দানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না। লক্ষণীয় হলো, ঘটনার সাথে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নাম জড়ানো হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত এ বিবষয়ে মুখ খোলেন নি।
এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে যে, ওই সমবেশ ডাকার পেছনে কোনো গুঢ় রহস্য রয়েছে। পত্রিকার খবরেই বলা হয়েছে, সমাবেশের জন্য টাকা দেওয়ার চুক্তিতে লোক আনা হয়েছিল। তো ওই সে টাকা নিশ্চয়ই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেননি? তাহলে কে দিয়েছিল সে টাকা? আর দেশে এত জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয় ও সমস্যা থাকতে সংগঠনটি একটি বিতর্কিত ঘটনাকে ইস্যু করে সমাবেশ ডাকলো কেন? বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, কোনো বিশেষ মহলের ইঙ্গিতেই এটা করা হয়েছে। আর তাতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নাম।
আজকাল পরলোকগত জাতীয় নেতাদের নামে নানা ধরনের সংগঠন গজিয়ে ওঠার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওইসব সংগঠনের উদ্যোক্তারা সেসব জাতীয় নেতার অনুসারী হওয়া তো দূরের কথা, তাদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে কীনা তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। কথিত ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়া সংগঠনটির আর কোনো সদস্য মওলানা ভাসানীর জীবন ও রাজনীতি সম্বন্ধে ন্যুনতম ধারণা রাখে রাখে কীনা সন্দেহ। মূলত এসব সংগঠন বানানো হয় কিছু মানুষের ধান্দা-ফিকিরের জন্য। সংগঠনের ব্যানারে নানা অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদাবাজিটা ভালোভাবেই করা যায়, আবার মহল বিশেষের স্বার্থোদ্ধারের জন্য ‘মার্সেনারি আর্মি’র ন্যায় ব্যবহৃতও হওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোনো ভাষ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আদৌ তিনি ওই সংগঠনটির চেয়ারম্যান কি না বা সমাবেশের কর্মসূচি তার জ্ঞাতসারে দেওয়া হয়েছিল কি না সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে অনতিবিলম্বে তার কথা বলা উচিত। কেননা মওলানা ভাসানী আমাদের অন্যতম জাতীয় নেতা। তাঁর নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তাহলে তাঁর প্রকৃত অনুসারীরা তা মেনে নিতে পারে না। কারণ মজলুম জননেতার নাম কোনো দুর্বৃত্ত চক্রের স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত হোক এটা কারোরই কাম্য হতে পারে না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।