ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়!

প্রকাশ : 2022-05-07 13:00:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়!

ঈদের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মখরিত বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। প্রতি শুক্রবার মহাস্থানগড় হযরত শাহ সুলতান বলখী এর মাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসুল্লিরা আসেন মাজার জিয়ারত করতে। তারই সাথে যোগ হয়েছে ঈদের বাড়তি আনন্দ, আর ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে মহাস্থান গড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়৷

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারনে দর্শনার্থীরদের সমাগম কিছুটা কম হলেও আবহাওয়া ভালো থাকায় মহাস্থান গড়ের মানকালি, জিয়ৎকুন্ড ও জাদুঘরের সামনে দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। হাজার হাজার দর্শনার্থীরা মহাস্থানগড় জাহাজঘাটি নামক স্থানে ভিড় করছে। বিশেষ করে দর্শকদের পদচারণায় মহাস্থান গড় জাদুঘর প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। মহাস্থান গড়ে পরিবার নিয়ে আসা এক দর্শনার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২বছর মহামারী করোনা আমাদের জীবন যাত্রা স্থবির করেছিল। আমরা ভুলে গিয়েছিলাম আনন্দ। 

মহামারী করোনার পাশ কাটিয়ে প্রশান্তির ছোয়া পেতে আজ পরিবার পরিজনদের নিয়ে মহাস্থানগড়ে ভ্রমন করতে এসেছি। বগুড়ার মহাস্থান গড় বলতে সদরের গোকুল মেধ বেহুলার বসরঘর, নরপতির ধাপ বলে পরিচিত ভাসুবিহার ও মহাস্থান গড়। তার মধ্যে অনেকের কাছেই প্রাধান্য হলো মহাস্থান গড় জাদুঘর এলাকা। যেখানে রয়েছে পশুরামের রাজপ্রাসাদ, জাহাজ ঘাটা, জিয়ৎকুন্ড, শীলাদেবীর ঘাট, গোবিন্দ ভিটা, প্রতœজাদুঘর, মহাস্থান বন্দর সংলগ্ন হযরত শাহ সুলতান বলখীর মাজার শরীফ।

 কিছুটা বৈরি আবহাওয়া হলেও পরন্ত বিকালে অপূর্ব মায়াভরা সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দর্শনার্থীদেরকে মুগ্ধ করে তুলছে। সবচেয়ে মহাস্থান গড়ের বৈরাগী ভিটা স্থানটি দর্শনার্থীদের কাছে বেশি গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশাখের খড়া মাসে অসহনীয় গরম থাকার কথা হলেও বিকালে ছিল স্বস্তির হাওয়া। 

স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে মহাস্থান গড় জাদুঘর স্থানটি দিন দিন ভ্রমণ পিপাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকালে মুক্ত হাওয়ায় আড্ডা দিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকছে। ঈদসহ বিশেষ বিশেষ দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

মহাস্থান গড় দার্শনিক এলাকা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন করে দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন। কেউ পরিবার- পরিজন, কেউ বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। প্রচীন ইটের বেস্টুনে বসে বিকালে তরুণ তরুণীদের আড্ডা গান বাজনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আর এই আনন্দঘন মুহুর্তকে স্মৃতি চারণ করে রাখতে অনেকেই মোবাইল ফোনে তুলছেন সেলফি।

 এদিকে জাদুঘরের পাশে করতোয়া নদী সংলগ্ন নতুন মনোরম স্থানে অনেকেই মনের আনন্দে ঘুরছেন ও বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন। মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান (জিম্মেদার) রাজিয়া সুলতানা জানান, ঈদের পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি ছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দর্শার্থী কম। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় ঈদের ৫ম দিনেও দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে।