এয়ারবাস থেকে এয়ারক্রাফট কেনার দিকে এগোচ্ছে বিমান

প্রকাশ : 2024-05-29 14:32:50১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

এয়ারবাস থেকে এয়ারক্রাফট কেনার দিকে এগোচ্ছে বিমান

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠানের এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম।ণ

বুধবার (২৯ মে) এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

বিমানের বিদায়ী এমডি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটিতে দুটি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নেই। তবে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চারটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে এগোনোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং) কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে। 

তিনি বলেন, কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি। বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যেই এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

এর আগে রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।

 

সা/ই