এবার মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব

প্রকাশ : 2024-05-06 15:30:22১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

এবার মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম বললে খুব একটা ভুল হয় না। দেশের এই তারকা ক্রিকেটারের সান্নিধ্যে আসতে ভক্তদের আগ্রহের সীমা নেই। খেলার মাঠে অনন্য সাকিব প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়েছেন বিভিন্ন বিতর্কের কারণে। ভক্তদের সঙ্গে বহুবারই মেজাজ হারানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন সাকিব।

সবশেষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। প্রাইম ব্যাংক আর শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের মধ্যেকার ম্যাচের আগেই ভক্তদের সঙ্গে মেজাজ হারালেন। এমনকি চড় মারতেও উদ্যত হয়েছেন সাকিব।

ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের পাশে প্রাইম ব্যাংক কোচ সালাহ উদ্দিন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব। দুজনেই সাকিবের প্রিয় গুরু। এ সময় হঠাৎ সেলফি তুলতে যান এক ভক্ত। প্রথমবার মানা করলেও সাকিবের কথা শোনেননি সেই ভক্ত।

আরও একবার সেলফি তুলতে উদ্যত হলে মেজাজ হারান সাকিব। এ সময় কিছুটা বাধ্য হয়েই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব। এক পর্যায়ে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে চড় মারতে উদ্যত হন। অবশ্য নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুরোটাও হারাননি তিনি। চড় মারতে গিয়েও থেমে যান তারকা অলরাউন্ডার। পরে সেই ভক্তকে অবশ্য মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়।

এর আগে সকালে স্টেডিয়ামের প্রবেশের সময়ও মেজাজ হারান সাকিব। তখনও এক ভক্ত সেলফি তোলার জন্য ফোন নিয়ে এগিয়ে এলে সাকিব ফোন কেড়ে নিতে উদ্যত হন। শেষ পর্যন্ত সেখানেও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

পুরো ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে। জাতীয় দলের একাধিক তারকা আছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলায়। তাদের ঠিক সামনে ভক্তদের এমন অবাধ বিচরণ নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে। তেমনি সাকিবের মেজাজ হারানোর ঘটনাও জন্ম দিচ্ছে আলোচনার।

অবশ্য এমন বিতর্কের জন্ম দেয়া ম্যাচেও ঠিকই রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন সাকিব। দেশের ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট পেয়েছেন তিনি। শাহাদাত হোসেন দীপু এবং জাকির হোসেনের উইকেট পেয়ে ৪০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন তিনি। তার আগে এই কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং আব্দুর রাজ্জাক রাজ।

সবার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট স্পর্শ করতে রাজ্জাকের লেগেছিল ২৬৯ ম্যাচ। এ ছাড়া মাশরাফির লেগেছিল ২৮৭ ম্যাচ। ম্যাচের হিসেবে সময়টা একটু বেশি লেগেছে সাকিবের। ৪০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাতে টাইগার অলরাউন্ডার খেলেছেন ৩০৮ ম্যাচ।