এত বেশি কথা না বলে কোহলিকে নিজের কাজ করার পরামর্শ

প্রকাশ : 2021-08-23 10:30:09১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

এত বেশি কথা না বলে কোহলিকে নিজের কাজ করার পরামর্শ

রমাঠে নামলেই বদলে যান বিরাট কোহলি। আগ্রাসী দেহভঙ্গি আর মুখের ভাষায় প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর এমন আচরণ একদম সহ্য হয় না ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার নিক কম্পটনের। কদিন আগেই বলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়কের মুখ খুব খারাপ। তাঁর কাছে কোহলিই দুনিয়ার সবচেয়ে ‘মুখ-খারাপ’ ক্রিকেটার।

কম্পটন অবশ্য সেখানেই থামেননি। কোহলির এভাবে অতিরিক্ত স্লেজিং নিয়ে মহা বিরক্ত কম্পটন ভারত অধিনায়ককে একটা পরামর্শও দিয়েছেন। বলেছেন, এত বেশি কথা না বলে নিজের কাজ করতে। অর্থাৎ মূল যে দায়িত্ব সেই রান তুলতে। তাহলেই নাকি আরও ভালোভাবে আগ্রাসন দেখানো যায়।

অধিনায়ক হিসেবে কোহলি বেশ আক্রমণাত্মক। মাঝেমধ্যে সেটা শুধু ফিল্ডিং সাজানোতেই নয়, আচরণেও প্রকাশ পেয়ে যায়। প্রতিপক্ষকে কথা দিয়ে আক্রমণ করতে বেশ পছন্দ করেন। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে যেমন জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে একপশলা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ম্যাচের শেষ দিন তো জস বাটলার ও ওলি রবিনসনকে কথার বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বাটলার বলেই বসেছিলেন, ‘এবার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

কম্পটনের ম্যাচ জেতার জন্য আগ্রাসী হওয়ার মধ্যে কোনো সমস্যা দেখছেন না। কিন্তু যেভাবে আগ্রাসনটা প্রকাশ পাচ্ছে, সেটা নিয়েই কম্পটনের সমস্যা, ‘তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই। আপনি যদি উইলিয়ামসন, রুটের অধিনায়কত্ব দেখেন, তারা ক্রিকেটটা অন্যভাবে দেখে। আমি বলছি না—সেটা সঠিক না ভুল। আমি শুধু বলছি, কোহলি যেভাবে কাজটা করে, সেটার অবশ্য জায়গা আছে। আমি শুধু বলছি, তার এত বেশি মুখর হওয়ার দরকার নেই। তার মুখ খুবই খারাপ। এটা সবার জন্য। চুপ থেকে কাজ করার পক্ষে আমি। ভিন্ন উপায়ে শক্তি প্রকাশ করা যায়।’

কম্পটনের চোখে ইংল্যান্ডকে জবাব দেওয়ার জন্য মুখ বা অঙ্গভঙ্গি অস্ত্র হওয়া উচিত নয় কোহলির। বরং তাঁর মূল যে পরিচয়, সেই ব্যাটসম্যান সত্তাকেই কাজে লাগাতে বলছেন এই সাবেক ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলি সর্বশেষ তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। প্রায় ২১ মাস ধরে এভাবে সেঞ্চুরি না পাওয়া কোহলির ক্যারিয়ারে এই প্রথম।

কম্পটন বলছেন, মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় এই আগ্রাসন না দেখিয়ে আগামী তিন টেস্টে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে। স্পোর্টস ক্রীড়াকে বলেছেন, ‘ভারতীয় খেলোয়াড়দের অবশ্য ইংল্যান্ডকে জবাব দিতে হবে। আমি বলছি না যে তাদের আগ্রাসী হওয়া ঠিক নয়। আমার মনে হয়, রবীন্দ্র জাদেজার মধ্যে এটা আছে। আমার মনে হয়, দলের মধ্যে বেশ ভালোভাবেই এটা আছে। কিন্তু আগ্রাসী হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। কোহলি আরও বুদ্ধিমানের মতো আগ্রাসন দেখাতে পারে, এমন বাজে লড়াইয়ে না জড়িয়ে। মাঝেমধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো কিছু না বলে মাঠে গিয়ে সেঞ্চুরি করে আসা।’